ই-কমার্স এবং উদ্যোক্তা।ই-কমার্স বর্তমান সময়ের সব থেকে পরিচিত একটি নাম। নামটি শুনলেই আমরা বুঝে নেই যে অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচা করার নাম ই-কমার্স। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন আর সাবলম্বী হওয়ার সহজ একটি মাধ্যম এই ই-কমার্স।
ই-কমার্স এবং উদ্যোক্তাই- কমার্স কি?
ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোনো ইলেকট্রনিক সিস্টেম (ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওইয়ার্ক) এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে।
ই- কমার্স এর কিছু প্রকারভেদ
- ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (B2B)
- ব্যবসা-থেকে-গ্রাহক/ভোক্তা (B2C)
- ব্যবসা-থেকে-সরকার (B2G)
- গ্রাহক-থেকে-গ্রাহক (C2C)
- মোবাইল কমার্স (m-commerce)
- গ্রাহক থেকে সরকার (C2G)

সফল ই-কমার্স ব্যবসা পরিকল্পনা কেমন হওয়া উচিৎ:
পরিকল্পনা:
যেকোনো ব্যবসা শুরুর আগে অবশ্যই সেই ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা আবশ্যক। যে ব্যবসা আমরা শুরু করতে চাই সেই ব্যবসা সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি, ব্যবসা করার জন্য যে মূলধন প্রয়োজন সেই পরিমাণ মূলধন আমাদের আছে কিনা এবং আমাদের পার্টনার, কর্মচারী সবার কাজ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। কে কোন কাজ সম্পাদন করবে সেটি আগে থেকে ঠিক করে নিতে হবে। কারণ ই-কমার্স ব্যবসা এমন যে, একা একা করা সম্ভব নয়, সবাই মিলে এবং সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা আবশ্যক।
সঠিক পণ্য নির্বাচন:
ই-কমার্স ব্যবসার জন্য পণ্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ আপনি কোন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান সেটি আপনি নিজে ঠিক করুন। যে পণ্যগুলো সম্পর্কে আপনি ভালো জানেন এবং বোঝেন সেই পণ্যগুলো নিয়েই কাজ করা উচিৎ। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে এমন পণ্য নির্বাচন করতে হবে যে পণ্যগুলো মানুষের চাহিদার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পণ্যগুলোর উৎস:
আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করতে চান সেই পণ্যগুলো আপনি কিভাবে পাবেন এবং ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবেন সেটি লক্ষ্য রাখতে হবে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে আপনার পণ্য সরবরাহ যদি সঠিকভাবে করতে না পারেন তাহলে আপনার ব্যবসার উপর একটা খারাপ প্রভাব পড়বে, পরবর্তীতে ওই ক্রেতা আর ওই পণ্যটি অর্ডার করবেন না। তাই পণ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
বাজার বিশ্লেষণ:
চাহিদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে সবসময় কাজ করা উচিৎ। বাজারে যে পণ্যগুলোর চাহিদা সব থেকে বেশি সেই পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। এছাড়া নতুন নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই মানুষের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন নতুন কোনো ইলেক্ট্রনিক পণ্য, হাতের তৈরি গহনা, হাতের কাজ, প্রসাধনী, দেশের বিভিন্ন স্থানের বিখ্যাত খাবার, পোশাক নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।এবং তার গুণগতমান এবং সেবার উপর। অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আমি যে পণ্যটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি সেই পণ্যটির গুণগতমান কেমন এবং ক্রেতা যে পণ্যটি অর্ডার করেছে সঠিক পণ্যটিই আপনি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা:
যেকোনো ব্যবসায় প্রতিযোগিতা থাকবেই, কারণ কোনো ব্যবসায়ই আপনি একা একা করতে পারবেন না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকবে যাদের সঙ্গে আপনার ব্যবসার মিল থাকবে এবং তাদের সঙ্গেই আপনার প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে নিজের পণ্যগুলোর মান কমিয়ে বা মূল্য কমিয়ে বা বাড়িয়ে ব্যবসার ক্ষতি করা যাবে না। এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করবেন না যেন মার্কেট নষ্ট হয়। আপনার যেমন অধিকার আছে স্বাধীনভাবে ব্যবসা করার তেমনি প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অন্য কারো ক্ষতি করা যাবে না এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা জরুরি।
আরও নিউজ দেখুনঃ