এক আল্লাহ জিন্দাবাদ কবিতা – কবিতাটি লিখেছেন বিখ্যাত ও আমাদের জাতীয় কবি “কাজী নজরুল ইসলাম”। যা তার একটি বিপ্লবী কবিতা।
এক আল্লাহ জিন্দাবাদ কবিতা – কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম (২৪ মে১৮৯৯ – ২৯ আগস্ট ১৯৭৬; ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ – ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সঙ্গীতকার। তার মাত্র ২৩ বৎসরের সাহিত্যিক জীবনে সৃষ্টির যে প্রাচুর্য তা তুলনারহিত। সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করলেও তার প্রধান পরিচয় তিনি কবি।
তার জীবন শুরু হয়েছিল অকিঞ্চিতকর পরিবেশে। স্কুলের গণ্ডি পার হওয়ার আগেই ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং শৈশবে ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা। ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাকে রাজন্যদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল। তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
যে নজরুল সুগঠিত দেহ, অপরিমেয় স্বাস্থ্য ও প্রাণখোলা হাসির জন্য বিখ্যাত ছিলেন, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মারাত্মকভাবে স্নায়বিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে আকস্মিকভাবে তার সকল সক্রিয়তার অবসান হয়। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যু অবধি সুদীর্ঘ ৩৪ বছর তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। বাংলাদেশ সরকারের প্রযোজনায় ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে তাকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৯৭৬ সালে তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিংশ শতাব্দীর বাঙালির মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে তাকে “জাতীয় কবি“ হিসাবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তার কবিতা ও গানের জনপ্রিয়তা বাংলাভাষী পাঠকের মধ্যে তুঙ্গস্পর্শী। তার মানবিকতা, ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দ্রোহ, ধর্মীয়গোঁড়ামির বিরুদ্ধতা বোধ এবং নারী-পুরুষের সমতার বন্দনা গত প্রায় একশত বছর যাবৎ বাঙালির মানসপীঠ গঠনে ভূমিকা রেখে চলেছে।
এক আল্লাহ জিন্দাবাদ কবিতা – কাজী নজরুল ইসলাম
উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;
আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।
উহারা চাহুক সংকীর্ণতা, পায়রার খোপ, ডোবার ক্লেদ,
আমরা চাহিব উদার আকাশ, নিত্য আলোক, প্রেম অভেদ।
উহারা চাহুক দাসের জীবন, আমরা শহীদি দরজা চাই;
নিত্য মৃত্যু-ভীত ওরা, মোরা মৃত্যু কোথায় খুঁজে বেড়াই!
ওরা মরিবেনা, যুদ্ব বাধিঁলে ওরা লুকাইবে কচুবনে,
দন্তনখরহীন ওরা তবু কোলাহল করে অঙ্গনে।
ওরা নির্জীব; জিব নাড়ে তবু শুধূ স্বার্থ ও লোভবশে,
ওরা জিন, প্রেত, যজ্ঞ, উহারা লালসার পাঁকে মুখ ঘষে।
মোরা বাংলার নব যৌবন,মৃত্যুর সাথে সন্তরী,
উহাদের ভাবি মাছি পিপীলিকা, মারি না ক তাই দয়া করি।
শেখ হাসিনার সরকার ইসলামের জন্য অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছে : তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইসলামের জন্য, আলেম ওলামাদের জন্য যা করেছে অতীতের কোন সরকার তা করেনি। তিনি বলেন, আলেম ওলামাদের শত বছরের পুরনো দাবি ছিল বাংলাদেশে একটি স্বতন্ত্র ইস-লামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। ব্রিটিশ ভেঙে পাকিস্তান হলো, এরপর বাংলাদেশ হলো, কিন্তু ইস-লামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আর প্রতিষ্ঠা হয়নি।
শেখ হাসিনার সরকার ইসলামের জন্য অতীতের যে কোন সরকারের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেছে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামায়াতে ইসলামকে সাথে নিয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলো, এরশাদ সাহেব মাওলানা মান্নান সাহেবকে ধর্ম মন্ত্রী বানালেন কিন্তু ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন। তথ্য-মন্ত্রী আজ দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির দাবি বহু বছরের পুরনো। বেগম খালেদা জিয়া কিংবা বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখনো এই দাবি ছিল। উনি আলেম-ওলামাদের ভাত খাওয়াতেন, কিন্তু দাবি পূরণ করেননি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান মাওলানা আহমদ সফি সাহেব আলেম-ওলামাদের নিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করলেন যেন কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি দেন। তিনি বলেন, অনেকে ভেবেছেন আমাদের নেত্রী আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।
স্বীকৃতি দেওয়ার পর অনেকে বলেছেন স্বীকৃতি দিয়েছেন কিন্তু চাকুরী হবেনা, চাকুরী পেলে বেতন পাবেন না। কিন্তু আমাদের নেত্রী শুধু কওমি সনদের স্বীকৃতি দেননি, তাদের চাকুরিও দিয়েছেন, তারা এখন সরকারি বেতন পাচ্ছেন। এটি কল্পনারও বাইরে ছিলো। আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বলেন, আজকে সারাদেশে এক লাখ মসজিদ ভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়াতেও দুই শতাধিক মসজিদ ভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা হয়েছে। প্রতিটি মক্তবের আলেম ৫২’শ টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন।
এটি আলেম সমাজ কখনো ভাবেনি। দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসার প্রতিটিতে দু’জন করে শিক্ষক ১২ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এখন হজে যাবার সময় ঢাকায় ইমিগ্রেশন হয়ে যাচ্ছে। সৌদি আরব গিয়ে আগের মতো ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে না। আলেমদের উদ্দেশ্যে হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার সরকার প্রতিটি জেলা-উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা কেউ কখনো ভাবেনি।
ব্রিটিশ আমলে দেশ বিভক্ত হয়েছিল মুসলমানদের জন্য একটি দেশ, হিন্দুদের জন্য আরেকটি দেশ। সেই পাকিস্তান আমলেও জেলা-উপজেলায় সরকারি ভাবে কোন মসজিদ হয়নি। ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার ইস-লামের জন্য এবং আলেম ওলামাদের জন্য যে কাজগুলো করেছে, আপনারা আলেমরা অন্যদের কাছে তা দয়া করে বলবেন- আপনাদের কাছে এটুকুই ফরিয়াদ থাকল’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।
নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় ইস-লামের খেদমতে নানা কাজ করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করার পর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইস-লাম এবং আলেম ওলামাদের খেদমত করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন ও আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশটার বেশি নতুন মসজিদ ভবন তৈরি করা হয়েছে। এভাবে প্রতিটি মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা ও হেফজখানায় সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহায়তাও পৌঁছানো হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লোকমানুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী দরবার-এ-আস্তানা শরীফের পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মেহেরিয়া মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী।
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় ইমাম ও খতিবদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি সুসংহত করা ও বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা মোকাবিলায় মসজিদের খতিব, ইমাম ও ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় তিনি বলেন, দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে কেউ যেন কোনভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সে লক্ষ্যে ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা হিসেবে ইমাম ও খতিবদের সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার ইসলামপুর উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইসলামপুর (জামালপুর) আয়োজিত ইমাম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা বলেন।
ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির অর্থায়নে ২০২১- ২০২২ অর্থ বছরে উপজেলা পর্যায়ে ইমাম, খতিব ও আলেম-ওলামাদের নিয়ে “ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং সামাজিক সমস্যা নিরসন” শীর্ষক মতবিনিমিয় সভা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইমামগণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সমাজে খতিব, ইমাম ও ওলামায়ে কেরামের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে সরকার তাঁদেরকে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমে যুক্ত করছে।
কেউ কেউ ধর্মের নামে রাজনীতি করলেও আওয়ামী লীগ সরকারই এদেশে ইসলামের খেদমতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইসলামের সঠিক আদর্শ ও শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে জাতির পিতাই এদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বিশ্ব এজতেমার জন্য তুরাগ তীরে জায়গা বরাদ্দ প্রদানসহ ইসলামের খেদমত ও মুসলিম উম্মার কল্যাণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের খেদমতে ইতোমধ্যে অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছেন।
ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাসহ লক্ষ লক্ষ আলেমের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. তানভীর হাসান রুমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এসএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, ইসলামিক ফাউন্ডেশন জামালপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ, ইসলামপুর এম এ ছামাদ পারভেজ মেমোরিয়াল মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামাল আব্দুন নাছের চার্লেস চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামপুর উপজেলা শাখা সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন স্বাধীন প্রমুখ।
মেয়েদের ইসলামিক নাম মুসলিমদের কাছে খুবই গুরুত্বপুর্ন বিষয়। শিশুর নাম, সুন্দর নাম ঠিক রাখার জন্য বাবা মায়ের অনেক মধুর তর্ক বিতর্ক হয়। সবাই চায় তার সন্তানের সুন্দর নাম হোক। তবে অনেক সময় দেখা যায় অভিজ্ঞতা না থাকায়, সুন্দর নাম রাখতে গিয়ে অনেককেই উল্টা পাল্টা নাম রাখেন যা আজীবনের কষ্ট হয়ে থাকে। সুন্দর নাম না হলে মা বাবা হয়ত সাময়িক কষ্ট পায় কিন্তু সন্তানটা কষ্ট পায় আজীবন। তাই অবশ্যই ভালো ভাবে জেনে বুঝে নাম রাখুন। সুন্দর নাম রাখুন। আপনাদের সাহায্য করতেই আমাদের এই উদ্যোগ।
মেয়েদের ইসলামিক নাম রাখার আগে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন:
নামের অর্থটি যেন সুন্দর হয়। শুধু নামটা শুনতে ভালো হলেই হবে না, অর্থও ভালো হতে হবে।
নামটি উচ্চারণ করা খুব কঠিন যেন না হয়। উচ্চারণ করা কঠিন নাম সবাই বিকৃত করে উচ্চারণ করে। তাতে সবার মন খারাপ হয়।
নামের বানানের ক্ষেত্রে যেন “শ,স”ষ” এর ধরনের অক্ষরের কনফিউশন না হয়।
দুটি শব্দের নাম হওয়া ভালো। তবে আপনি চাইলে ৪ শব্দ পর্যন্ত রাখতে পারেন।
আরবি নাম রাখতে চাইলে নামের সাথে “বিনতে” ব্যবহার করে পিতার নাম যুক্ত করতে পারেন।
লুনশা = খুব সুন্দর, চমৎকার, উজ্জ্বল
লুবনা = বৃক্ষ
লুবানা = আকাঙ্খিতা, প্রত্যাশিতা
লুবাবা = খাঁটি
লুলু =নামটি শুনতে যতটা লাগছে ততটাই মিষ্টি, এটি একটি বিরল মুক্তাকে বোঝায়
লেখনি = সুন্দর লেখা
লোচনা = চোখ
লোপা = ঋষি পত্নী, দেবী দুর্গার আরেক নাম
লোহিত = শশি রুবী, সূর্যরশ্মি
শ দিয়ে মেয়েদের আধুনিক নাম ও ইসলামিক নাম অর্থসহ
শবনম = অশ্রুর ফোঁটা / পানি মেশানো
শাকিরা =আমাদের সময়ের একজন জনপ্রিয় গায়িকা, একটি নাম যে কমনীয় বোঝায়
শাকিলা = সুন্দরী
শাকুফা =সুন্দর হয়ে উঠছে এমন একটি ফুল
শাকুরা = সুশ্রী / প্রেমিকা
শাকেরা = রাজ কুমারী
শাজীয়া = রাত্রি মধ্যে
শাদান =যে সবসময় আনন্দদায়ক
শাদিন =বনভূমিতে একাকী বসবাসকারী একটি হরিণকে উল্লেখ করে এমন একটি বিরল নাম
শানিন = ঠান্ডা পানি
শানিমুন = মেজাজ / অভ্যাস
শান্তা = শান্ত।
শাফাকাত = আরোধ্য
শাফাকাত তাইয়্যিবা = অনুগ্রহ পবিত্র
শাফাত = বুদ্ধিমতী/মহিলা কবি
শাফিয়া = মধ্যস্থতাকারিনী।
শাফীকা = সুপারিশ কারিনী
শাবানা = উপস্থিত
শামশাদ (ফার্সি) = নাকের অলংকার
শামসিয়া = প্রদীপ
শামসুন = অত্যন্ত কৃতজ্ঞ
শামসুন নাহার = দিনের সূর্য
শামা = শিশির
শামিখা = সুন্দরী
শামিনা =একটি মেয়ের সহজ সৌন্দর্য
শামিম আরা বেগম = সুগন্ধি যুক্ত মহিলা
শামীমা = সুগন্ধি।
শামীমা আফরোজ = সুগন্ধি যুক্ত আলোকময় সুন্দর
শাম্মা = উজ্জল, মেয়েদের আনকমন নামের তালিকা
শায়মা = মিষ্টি/প্রিয়
শায়েরা = কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কারিনী
শারমিন = লাজুক। (শ অক্ষর দিয়ে মুসলিম শিশুর নাম)
শারিকা = দৃঢ় / উচ্চ / উন্নত / মহিরূপ
শারীফা = বাজগর্ব
শারীফা খাতুন = ভদ্রমহিলা / সম্ভ্রান্ত রমণী
শার্মিলা = মর্যাদা
শাহ (ফার্সি) = মূল / শিকড়
শাহনাজ = সাহসিনী
শাহবা = ছাতা
শাহলা = বাঘিনী
শাহানা = সুগন্ধ
শাহিদা = সৌরভ সুবাস
শাহিদা আখতার = উপস্থিত তারকা
শাহিন =একটি ঈগলের মতো রাজকীয়
শাহিনুর = চাঁদের আলো
শাহীদা = সূর্য / রবি
শাহীরা = দুলহান
শিফা = ভদ্রতা / আভিজাত্য, দুই অক্ষরের মেয়েদের আধুনিক নাম
শিরীন = প্রসিদ্ধ
শীমাহ = রাসূল (সাঃ) এর দুধ বোন
শুহরাহ মুবাশ্বশিরা = এক প্রকার বৃক্ষ / বিশ্বখ্যাত সুসংবাদ
শূরফাত = ভদ্র / সম্রান্ত
শূরাফাত = লজ্জাবতী
শূহরাহ = বিশ্বখ্যাতি
স দিয়ে মেয়েদের আধুনিক নাম ও ইসলামিক নাম অর্থসহ
সমিরা =একটি বন্ধু সঙ্গে ব্যয় একটি শান্ত সন্ধ্যায় শ্রবণ করার একটি বিস্ময়কর নাম
সরফিনা = নোংরা থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন
সরিতা = সূর্য,
সহেলী = বান্ধবী
সাইদা = নদী
সাইমা = উপবাসী
সাইয়ারা = তারকা।
সাকেরা =কৃতজ্ঞ।
সাগরিকা = রাজকুমারী/ভদ্রমহিলা/অভিজাত বংশীয় নারী
সাজেদা = ধার্মিক
সাদাকা =দানশীল হওয়ার উদারতা
সাদিকা = সৎ / আন্তরিক
সাদীয়া/সাদিয়া = সৌভাগ্যবতী
সানজা = অতীব মর্যাদা এবং সম্মান জ্ঞাপন করা যায় এমন এক চরিত্রের গৌরব সম্পন্ন
সানজিদা = বিবেচক
সানজীদাহ = বিবেচক
সানাহ =একটি পর্বতের শীর্ষ থেকে উঠন্ত উজ্জ্বল সূর্যোদয়
সাফিখা = করুণ এবং দয়ালু মন এর অধিকারী
সাফিয়া = দয়ালু মনের অধিকার
সাবা = সুবাসী বাতাস
সাবিনা = ফুল /পুষ্প / ছোট তলোয়ার
সাবিহা = রূপসী / দ্রুতগামি অশ্ব
সামিনা = নাদুসনুদুস / পুষ্ট / সুখী
সামিয়া = রোজাদার
সামীহা = দানশীলা
সায়মা = রোজাদার। (স দিয়ে মুসলিম মেয়ে শিশুর নাম)
সায়িদা = এই শব্দের অর্থ বলতে মুখ্য কিংবা নেতা
সায়িমা = রোজাদার
সায়ীদা = পুন্যবতী
সারাফ আতিকা = গানরত সুন্দরী
সারাফ ওয়াসিমা = গানরত সুন্দরী
সারাফ নাওয়ার = গানরত ফুল
সারাফ রুমালী = গানরত কবুতর
সারাহ
সারিকা = সৌন্দর্যময় একটি জিনিস / প্রকৃতি
সারীনা = যে খুব সাহায্যদায়ক বা যার কাছ থেকে অতি সহজে সাহায্য পাওয়া যায়
সালওয়া = সততা (মেয়েদের ইসলামিক নাম)
সালমা = প্রশন্ত। (স দিয়ে পাকিস্তানি মেয়ে শিশুর নাম)
সালমা = প্রশান্ত
সালমা আনজুম = প্রশান্ত তারা
সালমা আনজুম = প্রশান্ত তারা
সালমা আনিকা = প্রশান্ত সুন্দরী
সালমা আফিয়া = প্রশান্ত পূণ্যবতী
সালমা তাবাসসুম = প্রশান্ত হাসি
সালমা নাওয়ার = প্রশান্ত ফুল
সালমা ফাওজিয়া = প্রশান্ত সফল
সালমা ফারিহা = প্রশান্ত সুখী
সালমা মালিহা = প্রশান্ত সুন্দরী
সালমা মাসুদা = প্রশান্ত সৌভাগ্যবতী
সালমা মাহফুজা = প্রশান্ত নিরাপদ
সালমা সাবা = প্রশান্ত সুবাসী বাতাস
সালমা সাবিহা = প্রশান্ত রূপসী
সালসা নাবীলাহ = প্রশান্ত ভদ্র
সালিনা =একটি মেয়ে যে চাঁদের সৌন্দর্যের সঙ্গে জন্মগ্রহণ করেছে
সালীমা = সুস্থ,
সাসমিন = সকল গুণ সম্পন্না, সোনার মতো হৃদয় এর অধিকারী, বিশ্বস্তা এবং অতীব সুন্দরী
সাহাদা = নিজের চোখে দেখা প্রমাণ প্রদান করে থাকেন
সাহিরা = পর্বত
সাহেবী = বান্ধবী।
সিদ্দিকা =একটি মেয়ে যে তার কথা সবসময় রাখে
সিদ্ধিখা = কঠোরভাবে সত্যবাদী, প্রখর বুদ্ধি যার এবং সৎ এমন
সিরাত = অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য এর অধিকারী, খ্যাতি এবং যশ সম্পন্ন নারী
সীমা / সিমা = কপাল, দুই অক্ষরের মেয়েদের আধুনিক নাম
সুফিয়া = আধ্যাত্মিক সাধনাকারী
সুবাহ = প্রভাত
সুমাইয়া = সুখ্যাতি অথবা সুউচ্চ / সমুন্নত / স্বতন্ত্র নিদর্শনের অধিকারী
সুমায়া =অবিরাম আনন্দ এবং গর্ব যে বয়ে নিয়ে আসে
সুমিরাহ = রাজকুমারী অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে
সুরভী / সুরভি = সূর্য
সুরাইয়া = সুন্দর / বিনয়ী
সুলতানা = মহারানী
সেনাদা = অনুগ্রহ এবং করুণা করে এমন এবং ধার্মিক ও মাধুর্যে পরিপূর্ণ
সোফিয়া =একজন বুদ্ধিমান এবং বিজ্ঞ মহিলা
সোহানা = ঘাসের উপর বিদ্যমান শিশির এর ন্যায় কোমল হৃদয়
সোহিলা =রাতের আকাশে একটি জ্বলন্ত তারা
হ দিয়ে মেয়েদের আধুনিক নাম ও ইসলামিক নাম অর্থসহ
হাদিয়া =প্রভুর দান করা ন্যায্যতার উপহার
হানজালা = সাহাবীর নাম
হানান =একটি দয়ালু এবং শুধু নারী
হানিয়া = সুখী, তৃপ্ত, খুশী
হানিয়া =আমাদের জীবনে সহজ সুখের উপহার
হাফী = পাহারদ্বার, রক্ষক
হাফেজা = সংরক্ষণকারিণী, কোরান হেফজকারিণী
হাবিবা = প্রেমিকা
হাবীবা =প্রিয়া।
হাবীবা = প্রিয়, প্রিয়তমা, সাহাবীর নাম
হামদা = প্রশংসা
হামনা = আঙ্গুর, সাহাবীর নাম
হামরা = অর্থ লাল, রক্তিম বর্ণ
হামামা = কবুতর, সাহাবীর নাম
হামায়না = রুপসী, সুন্দরী
হামিদা = প্রশংসিত।
হামিদা = প্রশংসাকারীণী
হামিদাভ = প্রশংসিত, উত্তম, নিরাপদ
হামিয়া = তেজ, উদ্দীপনা,
হামিসা = উৎসাহী, সাহসী
হামীমা = অন্তরঙ্গ বান্ধবী
হামীসা = সাহসিনী (হ দিয়ে মুসলিম মেয়ে শিশুর নাম)
হামুদা = অর্থ প্রশংসনীয়, প্রশংসিত
হামেদা = প্রশংসাকারিনী, কৃতজ্ঞ
হারিয়া =যোগ্য, উপযোগী
হালিমা = দয়ালু
হালিমা = ধৈর্যশালী, রাসূলুল্লাহর (সা) এর দুধ মা
হালীলা = সঙ্গীনী, সখী, সহচরী
হাসনা = সুন্দরী
হাসনা = সুন্দরী, রুপসী, রূপবতী
হাসানা = সুন্দর, সুকর্ম
হাসিনা =সুন্দরি।
হাসিনা = সুন্দরী, রুপসী, রুপবতী
হিদায়া=সমস্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ একটি বাধ্য মেয়ে
হিনা =আরেকটি জনপ্রিয় নাম, একটি মেহেন্দিতে হেনা উল্লেখ করে
হিমাভ = রক্ষা, আশ্রয়, আশ্রয় স্থল
হিশমা = অর্থ লাজুকতা, শালীনতা
হিসবা = প্রতিদান, পুরষ্কার
হুদা =একটি জীবনের সঠিক পথ নির্দেশক হিসাবে একটি ট্রেন্ডিং নাম
হুমাইরা = লাল রঙের পাখি
হুমায়রা = রূপসী
হুর = বেহেশতের সুন্দরী কুমারী,
হুররা = স্বাধীন মহিলা
*** এই আর্টিকেলটির উন্নয়ন চলমান। নিয়মিত নতুন নাম যুক্ত করা হচ্ছে। তাই আবারো ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।
ম দিয়ে মেয়েদের নাম ও ইসলামিক নাম অর্থসহ: মেয়েদের ইসলামিক নাম, আধুনিক নাম বেছে নেবার আগে নিচের আর্টিকেলটি দেখে নিন। জানতে পারবেন নাম রাখার আগে কি বিষয় মাথায় রাখা দরকার।