ডামুড্যার কেহুরভাংগা স্থায়ী খাল রক্ষা বাঁধটি এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে

ডামুড্যার কেহুরভাংগা স্থায়ী খাল রক্ষা বাঁধটি এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে ,জেলার ডামুড্যা উপজেলার কেহুরভাংগা স্থায়ী খাল রক্ষা বাঁধটি কনেশ্বর ইউনিয়ন ও আশপাশের আরও ৫-৬টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করেছে। ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের মানুষ বাঁধের সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছে। রক্ষাবাঁধটির কাজ ২০২২ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ শেষ হলে এ অঞ্চলের রাস্তাÑঘাট, বসত বাড়িসহ  নানা স্থাপনা স্থায়ীভাবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

১৯১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী কনেশ্বর এস সি এডওয়ার্ড ইনস্টিটিউশনের পাশ দিয়ে কেহুরভাংগা খালটি বয়ে গেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে এ খালটির ডান তীরের অনেক ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের মুখে পড়ে বিলীন হয়ে যায়। আশপাশের বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হলেও খালপাড়ের সড়ক বিপর্যস্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ ৫-৬টি ইউনিয়নের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

ডামুড্যার কেহুরভাংগা স্থায়ী খাল রক্ষা বাঁধটি এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে

 

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড খালটির স্থায়ী ভাঙ্গন রোধকল্পে ২০১৯ সালে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে বাঁধের ৬১০ মিটার কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছে এলাকাবাসি।

ডামুড্যার কেহুরভাংগা স্থায়ী খাল রক্ষা বাঁধটি এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে

 

শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব বলেন, কেহুরভাঙ্গা খালটি শত বছরের ঐতিহ্যবাহী কনেশ^র এস সি এডওয়ার্ড ইনষ্টিটিউশনের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে। এ খালটির ভাঙন দেখা দিলে দুইটি স্কুলের শিক্ষার্থীসহ কনেশ^র ও আশপাশের ৫টি ইউনিয়নের মানুষের নিরাপদ চলাচলে বিঘœ ঘটে। তাই আমরা ২০১৯ সালে ৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী এ রক্ষাবাঁ-ধটি নির্মাণ কাজ শুরু করি। ইতিমধ্যে রক্ষা বাঁ-ধের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ সুফল পেতে শুরু করেছে। আশা করছি ২০২২ সালে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে এলাকাবাসি এর পরিপূর্ণ সুবিধা পাবে।

ডামুড্যার কেহুরভাংগা স্থায়ী খাল রক্ষা বাঁধটি এলাকাবাসীর স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে

 

কনেশ্বর স্কুলের শিক্ষার্থী আবুল কালাম বলেন, আগে বর্ষাকালে খালের পাড়ের সড়ক দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমাদের চলাচল করতে হত। বর্তমানে এ বেড়ি বাঁ-ধটি নির্মিত হওয়ায় আমরা নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দে স্কুলে যেতে পারছি। কনেশ্বর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: জুলাস বলেন, খালের তীর রক্ষা বাঁ-ধ নির্মিত হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারছে। এর পাশাপাশি দুই পাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান সহ ঘরবাড়িও ভাঙ্গন ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

আরও দেখুনঃ

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে পেপার মিলে গ্যাসের রাইজারের লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ডে ৪ জন দগ্ধ

ডামুড্যা