প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন : জনপ্রশাসন সচিব

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরীর পাহাড় থেকে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সচিব আলী আজম।তিনি বলেন,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, পরীর পাহাড়ের সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য। শুধু পরীর পাহাড় নয়, দেশের সব জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি’।

প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন : জনপ্রশাসন সচিব

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও এলাকায় সমন্বিত দপ্তর এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এর কথা বলেন। জনপ্রশাসন সচিব জানান, প্রায় ৭৫ একর জমি নিয়ে আমরা সমন্বিত অফিস কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের চিন্তা ভাবনা করছি। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অবহিত হয়েছেন। আমরা পরবর্তী পদ্ধতিগত দিকগুলো অনুসরণ করে এ বিষয়ে যা করণীয় সেটি করবো।

প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন : জনপ্রশাসন সচিব

আলী আজম বলেন, আমাদের দেশ উন্নত হচ্ছে। উন্নত দেশের সরকারি কাজকর্ম বা অফিসের কাজকর্মের  পরিবেশ ভালো করা একান্ত প্রয়োজন। সুন্দর অফিসে বসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করবেন। সেখান থেকে আমরা ভালো কাজ, গুণগত কাজ উপহার পাবো। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্দেশনা। তিনি বলেন, এখন থেকে আমরা যে সমস্ত অফিস করছি তার পরিবেশ, চারপাশের প্রতিবেশ, ভেতরের অবয়বে অনেক পরিবর্তন আসছে। এসব কিছুর চিন্তা করেই এই সমন্বিত দফতর। এখানে আবাসনের ব্যবস্থা থাকবে, চিকিৎসা সেবা, ক্লাব ঘরের ব্যবস্থা থাকবে। যারা সেবা গ্রহীতা তারা আসবেন, তাদের সেবা দেওয়ার জন্য কি কি সুবিধা প্রয়োজন, যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই এখানে থাকবে। সুবিধাভোগীদের সমস্ত বিষয় মাথায় রেখেই আমরা এ কার্যক্রম শুরু করবো।

প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন : জনপ্রশাসন সচিব

সচিব আরও বলেন, আমরা আপাতত ৭৫ একর নিয়ে এগোচ্ছি। পরে প্রয়োজন অনুসারে এটি বৃদ্ধি করা হবে। অন্য জমি অধিগ্রহণ করবো। সরকারের সকল বিভাগই প্রয়োজনীয়। কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ আবার কোনও একটি বিভাগ গুরুত্বহীন-এমনটি নয়। সকলের সমন্বিত প্রয়াসেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তীরে হওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ রকম প্রকল্পগুলো করার আগে আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের একটা ইমপ্যাক্ট এনালাইসিস করে নিবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রমুখ।