ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করছে তিন নদী পরিষদ

‘তিননদী পরিষদ’ কুমিল্লার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে মেঘনা, গোমতী ও তিতাস এ তিন নদীর কথা মনে রেখেই সংগঠনটির নামকরণ করা হয়েছে।

ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করছে তিন নদী পরিষদ

ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করছে তিন নদী পরিষদ:কুমিল্লা নগর উদ্যানের জামতলায় ৩৯ বছর ধরে তারা নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জল ইতিহাস শুনিয়ে আসছে।

ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করছে তিন নদী পরিষদ

একুশের চেতনাকে লালন করে তা সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার মানসে ১৯৮৪ সাল থেকে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে ২১ দিনব্যাপী আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি।

স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিল্পী, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাচ, গান, নাট্য, আবৃত্তি ও আলোচনায় একুশের চেতনা তুলে ধরে। উদ্যোগটির মূল কান্ডারি আবুল হাসানাত।

একুশের চেতনায় ‘তিননদী পরিষদ’ মূলত তার উদ্যোগেই ৩৯ বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে এ অনুষ্ঠান। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই চলছে উদযাপন।

ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করছে তিন নদী পরিষদ
জানা যায়, একুশ নিয়ে অনুষ্ঠান করার জন্য ১৯৮৪ সালে নগর পার্কের জাম গাছের নিচে একটি পাকা মঞ্চ করে দেন তৎকালীন ডিসি সৈয়দ আমিনুর রহমান।

সেই থেকে প্রতিবছর পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে শহরের পৌর উদ্যানের শতবর্ষী জামতলায় শুরু হয় এ আয়োজন। কুমিল্লার বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শান্তি রঞ্জন ভৌমিক বাসসকে বলেন, ভাষার গৌরব আর সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে তিন নদী পরিষদ।

একুশকে বিকশিত করার জন্য সংগঠনটি কুমিল্লা অঞ্চলে বিরাট ভূমিকা রাখছে। তারা ভাষা আন্দোলনের গৌরবের ইতিহাসগুলো নতুন প্রজন্মের কাছে গত ৩৯ বছর ধরে পৌঁছে দিচ্ছে। এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ।

অমর একুশ নিয়ে একুশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ব্যতিক্রমই উদ্যোগ। আমার মনে হয় না দেশের আর কোথাও এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করছে তিন নদী পরিষদ

৩৯ বছর ধরে ভাষা আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস শুনিয়ে আসছে সংগঠনটি তিন নদী পরিষদের পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আবুল হাসানাত বাবুল বাসসকে বলেন, মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ থেকেই ১৯৮৪ সালে তিননদী পরিষদ গঠিত হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে ২১ দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছি আমরা। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে মা, মাটি, দেশ, বাংলা ভাষা এবং একুশের আবেদনকে পৌঁছে দেওয়া।

তিন নদী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দীন খান জম্পি বাসসকে বলেন, ভাষা আন্দোলনের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তায় জন্ম নিয়েছিল একুশের চেতনা।

ভাষার সংগ্রামের ইতিহাস জাগ্রত রাখতে কাজ করছে তিন নদী পরিষদ

এ চেতনা আমাদের জাতীয় জীবনে আত্মত্যাগের বীজমন্ত্র। গত ৩৯ বছর ধরে আমরা সবার মধ্যে স্বাধীনতা, ভাষা আন্দোলন এবং বাংলার ইতিহাসকে ছড়িয়ে দিচ্ছি এ মঞ্চ থেকে।