জেলার ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেনের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায়ে ৪ জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। এছাড়া ৪জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র ইমন হত্যা: রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকার আবদুস সামাদের ছেলে সিরাজ (৪৫), আহম্মদ আলী (৫৫), আমান উল্লাহর ছেলে নাহিদ (২১), আহম্মদের ছেলে সেন্টু মিয়া (২৫)। যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম সিরাজের স্ত্রী সালমা (৪২) ও আহমেদের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৭)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-মন্টু মিয়া (২২), আমান উল্লাহর স্ত্রী আয়েশা (৪০), সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ছেলে মামুন (২৪) ও খোরশেদ।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ বলেন, ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের কানাইনগর এলাকায় মসজিদের ইমামের বেতন দেয়াকে কেন্দ্র করে ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র ইমনের বড়ভাই ইকবালের (সিঙ্গাপুর প্রবাসী) সঙ্গে চাচা আহম্মদ আলীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে ইকবালের লাঠির আঘাতে আহাম্মদ আলীর মাথা ফেটে যায়। এরপর থেকেই তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেছিল। ওই ঘটনার পরে ইকবালকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দেয় পরিবার।
প্রায় দুইবছর পর ইকবালের পরিবারের ওপর প্রতিশোধ নিতে তার ভাই নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে আহাম্মদ আলী। সে অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ১৩ জুন ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর লাশ ৯ টুকরা করে ফেলে দেয়া হয়। পরে ২২ জুন বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেত থেকে টুকরা করা লাশ উদ্ধার করা হয়।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নিহতের বাবা কৃষক রমজান মিয়া জানান, দন্ডিতরা যেন ফাঁসি থেকে বেঁচে না যায়। আমার দাবি এ রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। নিহত ইমন হোসেন (১৩) ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে চর রাধানগর এলাকার ইসমাইল হোসেন ওরফে রমজান মিয়ার ছেলে।
Comments are closed.