বেড়েছে এটিএম সেবার ফি এবং এখন ইন্টারনেটের মাধ্যেমে টাকা পাঠাতে খরচ করতে হবে টাকা!

এখন থেকে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাড়তি ফি দিতে হবে। তবে নিজ ব্যাংকের এটিএম সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাড়তি ফি দিতে হবে না। সেক্ষেত্রে ফি আগের মতোই বহাল থাকবে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সেটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

atm copyright free image form pixabay.com -3077727_1280
চিত্র : এটিএম থেকে টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

বর্ধিত ফি আজ মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে। তবে ব্যাংকগুলো তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী এই ফি আদায় করবে। এটিএম সেবা থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন ও নগদ অর্থ জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে ফি। আগের ফি অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা তুললে প্রতি লেনদেনের জন্য সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি নিতে পারবে। আগে এই ফি ছিল ১৫ টাকা। নগদ অর্থ জমার ক্ষেত্রে প্রতি লেনদেনে এখন সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি নিতে পারবে। আগে এই ফি ছিল ১৫ টাকা। এই দুই ধরনের সেবার ক্ষেত্রে ফি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। তবে যেকোনো ব্যাংক চাইলে এর থেকেও কম খরচে ফি নিতে পারবে, তাতে কোন বাধা নেই।

এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের হেড অব কর্পোরেট কমিউনিকেশন অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, সবসময় ঈদের মাসে (জুলাই) মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন বাড়ে। এছাড়া করোনার বিস্তার রোধে অনেকে গ্রামে না গিয়ে সহজে প্রিয়জনদের টাকা পাঠিয়েছেন এ মাধ্যমে। পাশাপাশি জুলাই মাসে ঈদকেন্দ্রিক কেনাকাটাও বাড়ে। ঈদের পরের মাস আগস্টে স্বাভাবিকভাবে এসব কার্যক্রম কমে যায়। ফলে লেনদেনও কম হয়।
এটিএম এ এর বাইরেও গ্রাহকের হিসাবের জমা টাকার ব্যালেন্স বা স্থিতি সম্পর্কে জানতে সর্বোচ্চ ৫ টাকার মিনি স্টেটমেন্ট বা ছোট হিসাব বিবরনীতে ৫ টাকা আর তহবিল সমূহ স্থানান্তরের জন্য আদায় করা যাবে ১০ টাকা ফি। তবে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৫ টাকা আদায় করতে পারবে। দেশের ভেতরে পস বা পয়েন্ট অব সেল ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলন করলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি আদায় করা যাবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর করলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ফি আদায় করা যাবে।

আরও দেখুন

ইন্টারনেটের মাধ্যেমে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে ব্যাংকে টাকা পাঠাতে খরচ করতে হবে টাকা

ইন্টারনেট অথবা অ্যাপ হতো অন্য ব্যাংকের হিসাবে টাকা পাঠাতে গ্রাহকদেরকে মাশুল দিতে হয় না। তবে সেটি এখন আর থাকছে না। এখন থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠাতে হতে প্রত্যেকটি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০ টাকার পজন্ত মাশুল দিতে হবে গ্রাহকদের। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট হতে এই নির্দেশনা দেওয়া দিয়েছে। একই সাথে এটিএম আর পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) হতে অর্থ উত্তোলন সহ কয়েকটি পরিমান টাকার মাশুলের পরিমান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কিছু নির্দেশনা আগে হতে বহাল করে দেওয়া আছে।

money-transfer copyright free image form pixabay.com -3588301_1920
ইন্টারনেটের মাধ্যেমে ব্যাংক লেনদেন

বাংলাদেশ ব্যাংকের থেকে একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের (এনপিএসবি) আওতায় ইন্টারনেটের ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করে এক ব্যাংকের গ্রাহকের অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে লেনদেন প্রতি সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ১০ টাকা পজন্ত নির্ধারণ করা হলো। যা অরিজিনেটিং ব্যাংক তাদের গ্রাহকের নিকট হতে আদায় করতে পারবে।

পিওএস ব্যবহার করে নগদ টাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত মাশুল দিতে হবে গ্রাহককে। এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংক এর পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) ব্যবহার করে মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান মার্চেন্ট হতে মোট লেনদেনের অন্যূন্য ১.৬ শতাংশ এমডিআর বাবদ আদায় করবে। যার মধ্য হতে আইআরএফ বাবদ ১.১ শতাংশ কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক/ তার প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করবে।

এনপিএসবির আওতায় এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ হতে প্রতিবার টাকা উত্তোলনে ২০ টাকা, স্থিতি দেখার জন্য ৫ টাকা, খুদে হিসাব বিবরণীর জন্য ৫ টাকা, টাকা স্থানান্তরের জন্য ১০ টাকা আর নগদ টাকা জমার জন্য ২০ টাকা মাশুল নিতে পারবে। এই মাশুলগুলো কার্ড প্রদানকারী ব্যাংক এটিএম সেবাতে দেওয়া ব্যাংকগুলোতে প্রদান করবে।কিন্তু এটিএম থেকে টাকা উঠানোর জন্য এ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে থেকে ২০ টাকার ভিতর ১৫ টাকা নেওয়া যাবে আর বাকি ৫ টাকা ব্যাংককে, ভর্তুতি প্রদান করতে হবে।

কার্ডের মাধ্যমে সকল লেনদেনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইস্যুকৃত কার্ডের জন্য ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ এর ক্ষেত্রে অ্যাকোয়ারিং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের নিকট হতে লেনদেন প্রতি সর্বোচ্চ ২০ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) আদায় করবে, যার মধ্যে ৫ টাকা (ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত) কার্ড ইস্যুয়িং ব্যাংক/প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করে থাকবে। ২৫ হাজার টাকার ঊর্ধ্বে এ সকল জাতীয় লেনদেন এর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহের প্রচলিত ফি/চার্জ প্রযোজ্য হবে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

লেনদেন সম্পর্কে আরো জানুন:

প্রথম আলো : প্রয়োজনকে সহজ করেছে বিকাশ-ব্যাংক লেনদেন

বাংলাদেশের খবর সাইটটি ব্যবহার করায় আপনাকে ধন্যবাদ। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে “যোগাযোগ” আর্টিকেলটি দেখুন, যোগাযোগের বিস্তারিত দেয়া আছে।

Comments are closed.