আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের দাবি

আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী পাসের দাবি জানিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকো এবং ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।

 

 

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সংসদ অধিবেশনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনর সংশোধনী পাসের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) অধিকতর শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী আসন্ন সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে পাশ করে এটিকে চূড়ান্ত আইনে পরিণত করতে হবে।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে ৩ কোটি ৭৮ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। কর্মক্ষেত্রসহ পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। আর তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।এতে আরও জানানো হয়, তামাক ব্যবহারের দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে। এর কারণ বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ এবং তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রণোদনা নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে এখনও সর্বোত্তম মান অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ।

তাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রণীত সংশোধনীটি আসন্ন সংসদ অধিবেশনে উত্থাপন এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে পাশ করে চূড়ান্ত করা হলে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো দূর হবে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগ যেমন- হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও শাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী রোগ ইত্যাদি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটছে। আর এই অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির কারণ মূলত ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার। তাই এই অকাল মৃত্যু ঠেকাতে আসন্ন সংসদ অধিবেশনেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়াটি জাতীয় সংসদে উত্থাপন এবং পাশ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এছাড়া বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠন ও ১৫ হাজারের বেশি ব্যক্তি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) যুগোপযোগী করে বৈশ্বিক মানদন্ডে উন্নীত করতে ছয়টি বিষয় অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করা হয়।

সুপারিশ গুলোর মধ্য রয়েছে, সকল পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রর্দশন নিষিদ্ধ করা; তামাক কোম্পানির যেকোনো ধরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা; তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/কৌটায় সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা; বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা, মোড়কবিহীন এবং খোলা ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং ই-সিগারেটসহ সকল ইমার্জিং ট্যোব্যাকো প্রোডাক্টস্ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ) ডা. শেখ মোহাম্মদ মাহবুবুস সোবহান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল নোমান, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের এন্টি-টোব্যাকো সেলের সদস্য সচিব ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।

আরও দেখুনঃ

নির্বাচনে বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে : ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে চায়। এই নির্বাচনে বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে।

 

 

নির্বাচনে বাধা দিলে প্রতিহত করা হবে : ওবায়দুল কাদের

আজ সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মজয়ন্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা কথা বারবার বলে আসছি। আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, অবাধ সুষ্ঠুভাবে করব। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।

 

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্পষ্ট করে আমরা একটা বলতে চাই, যারা আন্দোলনের নামে নির্বাচনকে সামনে রেখে বাসে আগুন দেয়, বাস ভাঙচুর করে, তারা পলিটিক্যাল ভায়োলেন্সে আছে। কাজেই তাদের খবর আছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বলেছে নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়। আমাদেরও এটা কথা, এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের অবশ্যই প্রতিহত করব।

 

 

কবি নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পর্কে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী চেতনায় আমরা উজ্জীবিত হতে চাই। আজ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে গড়ে তোলার পথে অন্তরায় সৃষ্টিকারী সাম্প্রদায়িক বিশ্বাস, সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ এখনো বাংলাদেশে শাখা প্রশাখা বিস্তার করে আছে।

আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করব।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুউল্লাহ, শাজাহান খান ও ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও এস এম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাতীয় কবির সমাধীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

আরও দেখুনঃ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে।

 

 

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

তিনি বলেন, মিয়ানমারকে অর্থনৈতিকসহ নানা ধরণের চাপ প্রয়োগ করলে প্রত্যাবাসন সফল হবে। আর এ সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়, এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

তাজুল ইসলাম আজ মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার এবং অতি দারিদ্র বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অলিভার ডি স্কাটারের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন ।

এ সমযয় মন্ত্রী জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধিকে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় অবহিত করেন।

 

 

এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা আছে এবং তারা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। বর্তমান সরকার স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় মানুষের শাসন নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, সকলের জন্য নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ। অবকাঠামো উন্নয়ন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়। আর  এই সক্ষমতা অর্জনে সমাজের নানা স্তরের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করত। আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে বর্তমানে আমাদের অতি দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশ এবং দারিদ্র সীমারেখার নিচে বসবাসরত জনসংখ্যা ১৮ শতাংশ নেমে এসেছে। এক সময় আমাদের জিডিপির আকার ছিল মাত্র ৩৭ বিলিয়ন ডলার, আর এখন আমাদের জিডিপির আকার ৪৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার একটি দলিল।

 

 

অলিভার ডি স্কাটার বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, দারিদ্র হ্রাসসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ওপর গুরুত্বরোপ করে তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের আরো বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মকর্তা মিস সাকসী রাই এবং পরামর্শক পল ডরনান।

পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

এ সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলের সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জরুরী। কারণ নাগরিক সচেতনতাই ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অনেক দেশের তুলনায় দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যুই কাম্য নয়।

আরও দেখুনঃ

স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।

 

 

স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য : তথ্যমন্ত্রী

তিনি আজ  দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুণর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভালপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত, মায়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন , সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা বক্তব্য রাখেন। তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা’।

 

 

হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুণরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে।  দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স দিয়েছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুণর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

আমাদের দেশ এবং এশীয় তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

আরও দেখুনঃ

জীবনব্যাপী আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জীবনব্যাপী আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত।

 

 

জীবনব্যাপী আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন শান্তির অন্বেষণে নিবেদিত : প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে তিনি কলকাতার ভয়াল দাঙ্গার মধ্যে অসহায় বিপদাপন্ন মানুষকে উদ্ধারের জন্য জীবন বাজি রেখে নির্ভয়ে ছুটে গিয়েছেন। নবীন রাজনীতিবিদ হিসেবে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত প্রথম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলীয় শান্তি সম্মেলনে প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

১৯৫৬ সালে বিশ্ব শান্তি পরিষদের স্টকহোম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলার মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এক দশকেরও বেশি সময় জেল খেটেছেন এবং পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়’ শান্তির এই বাণী ঘোষণা করেছেন।

 

 

শান্তির এই প্রতিপাদ্যই সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গৃহীত হয়েছে। তিনি সবসময় এশিয়া-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকাসহ সকল মুক্তিকামী মানুষদের সমর্থন যুগিয়েছেন এবং অবিচল কণ্ঠে শোষিতের পক্ষে নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং সেই সঙ্গে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করছে জেনে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা এনে দিয়ে দেশবাসীর কাছে তিনি যেমন বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতা হিসেবে বরেণ্য হয়েছেন, তেমনি শান্তির স্বপক্ষে আপসহীন অবস্থান তাঁকে বিশ্ববাসীর কাছেও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। শান্তি ও স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করেছে।

 

 

নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিদেল ক্যাস্ট্রো, জওহরলাল নেহেরু, গামাল আবদেল নাসের, পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, ইয়াসির আরাফাত, লিওনিদ ব্রেজনেভ প্রমুখ জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্ত বিশ্ববিশ্রুত নামের তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামের সংযোজন প্রমাণ করে বিশ্ববাসীর চোখে আমাদের জাতির পিতার সম্মান ও মর্যাদা হিমালয়সম উচ্চতায় অধিষ্ঠিত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যখন যুদ্ধ এবং নানা রকমের দ্বন্দ্ব-সংঘাত পৃথিবীকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, তখন তাঁর শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির পঞ্চাশ বছরপূর্তি আমাদেরকে এ কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, মানব জাতির সামনে শান্তির কোনো বিকল্প নেই।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জুলিও কুরি শান্তিপদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের লক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত সকলকে, বিশেষ করে এ স্মরণিকা প্রকাশের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। এ স্মরণিকা বিশ্ব শান্তির প্রবক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে আরো নিবিড়ভাবে জানার ক্ষেত্রে উপযোগী হবে বলে তিনি  বিশ্বাস করেন।

আরও দেখুনঃ

বাংলাদেশসহ বিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ শিরোনাম, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, খেলা, বিনোদন, চাকরি, রাজনীতি ও বাণিজ্যের বাংলা নিউজ পড়তে ভিজিট করুন

Exit mobile version