জেলার কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন রোধে ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি)। বরিশাল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কীর্তনখোলা নদী ভাঙন রোধ ও নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে পাউবি। ৩ হাজার ৩০৭ মিটার বেড়িবাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাউবি।
বরিশালে দ্রুত গতিতে চলছে ৩২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ ও ওয়াকওয়ের নির্মাণ কাজ
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম প্রান্তে বেলতলা ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ৩০৭ মিটার বেড়িবাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি চরবাড়িয়া পয়েন্টে নদীর বুকে জেগে ওঠা পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ চর অপসারণ করবে।
যার ফলশ্রুতিতে নগরীর বেলতলা থেকে জেলার সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীর পশ্চিম তীর একটি দর্শনীয় স্থানে পরিনত হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করছে স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১৭ অক্টোবর নদী ভাঙন প্রতিরোধে ৩২৮ কোটি টাকার এই প্রকল্প একনেকে পাস হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল বলেন, বেড়িবাঁধ ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে নগরীর বেলতলা থেকে সদর উপজেলা চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী প্রায় ৩০ হাজার ভূক্তভোগী উপকৃত হবে। বর্তমান সরকারের এ ধরনের প্রতিটি পদক্ষেপকে আমরা সুধুবাদ জানাই।
এবিষয়ে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, খুলনা শিপইয়ার্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলেও তদারকি করছে (পাউবি)। ইতিমধ্যে চরবাড়িয়া বেড়িবাঁধ প্রকল্পটির প্রায় ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় কীর্তনখোলার পশ্চিম তীরে ৩ হাজার ৩০৭ মিটার সিসি ব্লক বেড়িবাঁধ নির্মাণ ছাড়াও ড্রেজিং করা হবে নদীর প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কীর্তনখোলার ভাঙন থেকে বেলতলা ও চরবাড়িয়াসহ বিস্তীর্ণ এলাকা রক্ষা পাবে এবং নির্মল বাতাসের জন্য নদী তীরবর্তী বেড়িবাঁধটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম জানান, এ ক্ষেত্রে কোনো প্রকার গাফিলতি বরদাশত করা হবে না। নদী ভাঙন রোধ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বরিশালের অনুন্নত ওই এলাকার চেহারাসহ স্থানীয় মানুষের জীবনমান পাল্টে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রতিমন্ত্রী ।
আরও দেখুনঃ
Comments are closed.