জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মাইক্রোবাসের সঙ্গে সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন ঘটনাস্থলে নিহত ও গুরুতর আহত আরো তিনজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত:এই সময় আরো দুই যাত্রী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বাবুরহাট-মতলব সড়কের বড়দিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দু-র্ঘটনায় নিহতরা হলেন- মতলব ঘনিয়ার পাড় এলাকার অটোরিকশা চালক জসিম উদ্দিন মোল্লা (৪৯), চাঁদ-পুর শহরের পুরাণ বাজারের হানিফ বেপারী (২৮), নতুন বাজার এলাকার নুপুর (১৪) ও অজ্ঞতানামা (৭০) এক বৃদ্ধা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, চাঁদপুর থ-১১-২৭৯৬ নম্বরের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চাঁদপুর থেকে যাত্রী নিয়ে মতলবের উদ্দেশ্যে আসছিল।
বিপরীত দিক থেকে ঢাকা মেট্রো-চ -১৯-৮০১২ নম্বরের মাইক্রোবাসটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ার পাড় এলাকার জালাল উদ্দিন মোল্লার ছেলে সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন মোল্লা মারা যান।
বাকি সিএনজি অটোরিকশাতে থাকা অপর পাঁচ যাত্রীর মধ্যে চাঁদ-পুর সদর হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন চাঁদ-পুর শহরের পুরান বাজার এলাকার হারুন বেপারীর ছেলে হানিফ বেপারী, নতুন বাজার এলাকার আজিম জামানের মেয়ে নুপুর এবং ৭০ বছর বয়সী এক অজ্ঞাতনাম বৃদ্ধা।

দু-র্ঘটনায় নিহত হানিফ বেপারীর স্ত্রী জান্নাত আক্তার পপি (২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও আহত অপর এক জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
থানা পুলিশ আরো জানায়, দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসটি থাকা এক প্রবাসী ও তার স্বজনরা অক্ষত অবস্থায় থাকলেও এর চালক গাড়িটি রেখেই পালিয়ে যায়।
মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় বাসসকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত অটোরিকশা চালকের মরদেহ, মাইক্রোবাস ও সিএনজিটি উদ্ধার করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহত ৩ জনের পরিচয় পাওয়ার পরে তাদের স্বজনদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে, পথচারী অজ্ঞতানামা নারী (৭০) এর পরিচয় এখনো পাওয়া যায় নি।