দলীয় নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ পালিত হয়েছে।
২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন প্রবীণ এঁই রাজনীতিবিদ।মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নিজ এলাকা দিরাই’য়ে নানা আয়োজনে তাকে স্মরণ করা হয়।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের সমাধিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৪৬ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পরে ঢাকা সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি কিছুদিন আইন পেশায় যুক্তও ছিলেন।
ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত থাকা সুরঞ্জিত ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ন্যাপ থেকে জয়ী হন। একাত্তরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
সুরঞ্জিত ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন ন্যাপ থেকে। ১৯৭৯ সালের সংসদে ছিলেন একতা পার্টির প্রতিনিধি হয়ে। ১৯৯১ সালের সংসদে গণতন্ত্রী পার্টি থেকে নির্বাচিত হন তিনি।

পঞ্চম সংসদের সদস্য থাকাকালেই আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্রথমে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরে দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।
তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডেরও সদস্য। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন। পরে অবশ্য অন্য আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর সুরঞ্জিতকে আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান। পরে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বও রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুরঞ্জিত।

সবমিলিয়ে তিনি মোট আটবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। দেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য সুরঞ্জিত ছিলেন নবম সংসদে পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধন কমিটির কো-চেয়ারম্যান।