সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ,কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস)।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ,হামলার পর তালেবান জানিয়েছিল, এই জঙ্গি দলের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, আইএস এর মতো জঙ্গি দল নির্মূলে তালেবানকে তারা সাহায্য করতে রাজি। কিন্তু তালেবান সাফ জানিয়ে দিল, সন্ত্রাস দমনে তাদের কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের সাহায্য লাগবে না।
তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য আনামুল্লাহ সামঙ্গানি বলেন, “আমরা নিজেরাই দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।” “এই ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তরাষ্ট্র বা অন্যান্য দেশের সমর্থন প্রয়োজন নেই।”
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করেছে তালেবান। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। তালিবানদের থেকে বাঁচতে আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায়। মার্কিন বিমানের চাকা ধরেও ঝুলে পড়েন বহু মানুষ। হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় কাবুল বিমানবন্দরে। এসবের মধ্যেই ২৬ আগস্ট বিমানবন্দরের সামনে জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়। ১৩ জন মার্কিন সেনাসহ মারা যান প্রায় ১৭০ জন।
এই হামলার দায় স্বীকার করে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ (আইএস)। জঙ্গি সংগঠনটি নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাক-এর এক প্রতিবেদনে হামলার দায় স্বীকার করে ।
২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে হামলার আগে আমেরিকা পেন্টগন হামলার আশংকা করেছিল। হাজার হাজার মানুষের সমাগম থাকা সত্ত্বেও আশঙ্কা প্রকাশ করার পরপরই কেন বিস্ফোরণ ঘটল। এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারিনি পশ্চিমা দেশগুলো।
এক্ষেত্রে লক্ষ্য করলে দেখা যায় তালেবান জঙ্গি দমনে বৈদেশিক সাহায্য নেবার ক্ষেত্রে তার প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের মতো বৈদেশিক সাহায্য বা অর্থ নেবার চেষ্টা করছে না। এই বিষয়টি অনেক আন্তর্জাতিক আলোচক মহল পজিটিভ ভাবে দেখছেন। কারণ পাকিস্তান বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে ভালো উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি।
আরও নিউজ দেখুনঃ
Comments are closed.