মাদারীপুরে এক ভবনেই মিলবে সরকারি ৩০ দপ্তরের সেবা। জানা যায়, মাদারীপুর শহরের শকুনী মৌজার উপর নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক সরকারি সমন্বিত অফিস ভবন। দশতলাবিশিষ্ট ভবনটিতে জেলার ভাড়ায় থাকা অন্তত ৩০টি সরকারি দপ্তর এখানে জায়গা পেয়েছে।
মাদারীপুরে এক ভবনেই মিলবে সরকারি ৩০ দপ্তরের সেবা
শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অফিসগুলো এরই মধ্যে মালামাল স্থানান্তর করছেন তারা। একভবনে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সেবা পাওয়ায় ভোগান্তি আর হয়রানি কমবে বলে আশা সেবা প্রত্যাশীদের। গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে এ ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। গত ৩ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জেলাভিত্তিক প্রথম সরকারি সমন্বিত অফিসটির উদ্বোধন করেন। কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকায় নভেম্বর মাসে এর নির্মাণ কাজ শেষ দেখায় গণপূর্ত বিভাগ।
প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দশতলাবিশিষ্ট সমন্বিত মাদারীপুর সরকারি অফিস ভবনে বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এর কার্যক্রম। এতে খুশি সেবা প্রত্যাশীরা।
জেলার সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের জন্য নির্মিত দশতলা ভবনটির নির্মাণ ব্যয়ে ধরা হয়েছে ৬৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দশতলা বিশিষ্ট ভবনটিতে জেলা সমবায় অফিস, নির্বাচন অফিস, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, জেলা সঞ্চয় অফিস, জেলা তথ্য অফিস, ওষুধ তত্ত্ববাধয়ের কার্যালয়, ভ্যাট ও কাস্টমস্ অফিস, জেলা মার্কেটিং অফিস, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কার্যালয়, জেলা প্রশাসনের বিশেষ শাখা, গণপূর্ত কন্ট্রোল রুম, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রসহ বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে। ভবনটিতে রয়েছে ৪টি লিফট, মাল্টি পারপাস হল রুম, একসাথে ৫৫টি গাড়ি পার্কিং-এর আলাদা স্থান, আলাদা বিদ্যুৎ সংযোগ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য যাতায়াতের আলাদা ব্যবস্থাসহ আধুনিকসব সুবিধা।
মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি এলাকার মেহেদি হাসান শুভ বলেন, এক ভবনে একাধিক দপ্তরের সেবা পাওয়ায় ভোগান্তি, হয়রানি কমবে। পাশাপাশি অর্থের অপচয় রোধ হবে। একদিনে একাধিক কাজ শেষে বাড়ি ফেরা যাবে।মাদারীপুর জেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের ফিজওথেরাপি কনসালটেন্ট ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, নতুন ভবনে আসতে পারায় সেবার মান বাড়বে। এছাড়া একসাথে অনেক মানুষকে বেশি সেবা দেয়া যাবে।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নিজস্ব ভবন না থাকায় দীর্ঘদিন ভাড়ায় থাকা লাগতো। এখন নিজস্ব ভবন হওয়ায় আলাদা অর্থের খরচ হবেনা। বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হবে, এতে বাড়তে কাজের গতি।মাদারীপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খান জানান, একসাথে ৩০ দপ্তরকে দেখাশোনা করতে জেলা প্রশাসন থেকে গঠন করা হয়েছে মনিটরিং কমিটি। প্রতিমাসে পুরো ভবনে ৫০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ও অর্ধশত জনবল নিয়োগের আবেদন চেয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
আরও দেখুনঃ
Comments are closed.