মাঠে ফিরেই আর্সেনাল ,প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় জায়গা পেতে ব্যর্থ হওয়া আর্সেনাল। আড়াই দশকের মধ্যে আর্সেনালের নতুন মৌসুমের শুরুটাও হলো বাজে। প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে তাদের হারিয়ে দিল ব্রেন্টফোর্ড। নজরকাড়া পারফরম্যান্সে ৭৪ বছর পর শীর্ষ লিগে ফেরা রাঙাল দলটি।

[ ৭৪ বছর পর মাঠে ফিরেই আর্সেনালকে হারিয়ে দিল ব্রেন্টফোর্ড ]
২০২১-২২ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচে শুক্রবার রাতে ২-০ গোলে জিতেছে ব্রেন্টফোর্ড। সের্হি কানোস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ক্রিশ্চিয়ান নোয়াকো।
যেন রূপকথার এক জয় দিয়ে নতুন শুরু হলো ব্রেন্টফোর্ডের। ঠিক উল্টো অভিজ্ঞতা আর্সেনালের। গতবার অষ্টম হওয়া মিকেল আর্তেতার দলের আসর শুরু হলো বাজে এক হার দিয়ে।
এর আগে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে এই দুই দলের শেষ দেখা হয়েছিল সেই ১৯৪৭ সালে। যে কোনো প্রতিযোগিতা হিসেবে শেষ দেখা হয়েছিল তিন বছর আগে, লিগ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে। দুই ম্যাচেই জিতেছিল আর্সেনাল।

প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের পর ৫০তম দল হিসেবে ইংল্যান্ডের ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় খেলল ব্রেন্টফোর্ড। ৬০তম মাঠ হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক হলো ব্রেন্টফোর্ড কমিউনিটি স্টেডিয়ামের।
এই ম্যাচ দিয়েই টুর্নামেন্টে ফিরল ধারণক্ষমতার সমান দর্শক। গান গেয়ে, চিৎকার করে পুরোটা সময় দলকে সমর্থন দিয়ে গেছেন ব্রেন্টফোর্ডের সমর্থকরা। মাঠ ছেড়েছেন চোখে জল আর মুখে হাসি নিয়ে।
ম্যাচের আগে বলেছিলেন আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা, এটা তারুণ্য নির্ভর একটি দল, রোমাঞ্চে ভরা এবং প্রাণশক্তিতে পূর্ণ। তবে তার ছাপ রাখতে পারেননি খেলোয়াড়রা। পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংসহ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অভাব ঠিকই টের পেয়েছে সফরকারীরা।
ঢিমে তালে শুরু হওয়া ম্যাচে ২২তম মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রেন্টফোর্ড। কর্নার বাঁচানোর চেষ্টায় ঠিক মতো বল ক্লিয়ার করতে পারেনি আর্সেনাল। সতীর্থের পা ঘুরে বল পেয়ে যান কানোস। কাট করে ভেতরে ঢুকে পায়ের কারিকুরিতে সফরকারীদের তিন খেলোয়াড়কে এড়িয়ে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। ঝাঁপিয়েও স্প্যানিশ ফরোয়ার্ডের শট ঠেকাতে পারেননি বার্নড লেনো।
২৭ হাজার ১১০ দিন পর শীর্ষ লিগে গোল, খুশিতে যেন আত্মহারা হয়ে যান ব্রেন্টফোর্ডের সমর্থকরা।
৩১তম মিনিটে ভাইয়ান এমবিউমোর শট একটুর জন্য লক্ষ্যে না থাকায় ব্যবধান বাড়েনি। ৪৪তম মিনিটে ইভান টনির চমৎকার ক্রসে একটুর জন্য পা ছোঁয়াতে পারেননি ভিটালি জানেল্ট। সে যাত্রায় বেঁচে যায় আর্সেনাল।
প্রিমিয়ার লিগে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়া আগের ১৫ ম্যাচেই হারা আর্সেনাল ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দ্বিতীয়ার্ধে। রক্ষণে গুটিয়ে যায় ব্রেন্টফোর্ড।
৬৫তম মিনিটে সমতা প্রায় ফিরিয়েই ফেলছিলেন গাব্রিয়েল মার্তিনেলি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ফ্লিক একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। এরপর খুব বেশি সুযোগ পায়নি আর্সেনাল।
৭৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নোয়াকো। লম্বা থ্রো ইন ডি-বক্সে হেড করে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় কাছের পোস্ট মাথা ছোঁয়াতে পারেননি ক্যালাম চেম্বার্স। দূরের পোস্টেও কেউ পারেননি ক্লিয়ার করতে। ছুটে গিয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন নোয়াকো।
৮৮তম মিনিটে নিকোলাস পেপের শট দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন ব্রেন্টফোর্ড গোলরক্ষক। এক যুগের মধ্যে প্রথম দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে অভিষেকে ঘরের মাঠে জয়ের খুশিতে মাঠ ছাড়ে দলটি। ২০০৮-০৯ মৌসুমে সবশেষ এই স্বাদ পেয়েছিল হাল সিটি।
আরও পড়ুন:
- এডিবি দিচ্ছে ৮ বিলিয়ন ডলার এবং কার্ডে লেনদেন আবারও বাড়ছে
- ওয়েলসের ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে পদার্পণ
- মরিনহোর স্পেশাল ওয়ান হয়ে ওঠা
- মার্সেলোর অশ্রুশিক্ত বিদায়
- হ্যালান্ডের কাছে গোল করা খুব সহজ !
- রিকুয়েলমে; কোচের প্রভাবে যার ফুটবল ক্যারিয়ারের বলি!
- ফুটবল বিশ্বকাপ ১৯৫০, কেন খেলেনি ভারত?
- ফুটবল বিশ্বকাপে মাঠের মজার ঘটনা
- ফুটবল বিশ্বকাপের শুরু যেভাবে [ The way the football world cup started ]
- ফুটবলের যত কুসংস্কার [ The superstition in Football ]
- স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল : ফুটবল দিয়েই মুক্তিযুদ্ধ [ Shadhin Bangla Football Team, 1971]
- ফুটবল বিশ্বে স্বপ্নপূরণ এবং স্বপ্নভঙ্গের এক সপ্তাহ
- ফুটবল বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মুসলিমদের প্রতি সম্মান
- বৃষ্টির দিনের মন মাতানো ফুটবল
- ফুটবলকে বিদায় জানালেন কার্লোস তেভেজ
- রোনালদিনহো গাউচোঃ ফুটবল পায়ে ম্যাজিক দেখানো এক যাদুকর