বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে রাজনীতি করতে হবে। নিজের জন্য না, সমাজের জন্য রাজনীতি করতে হবে।
দলের মধ্যে ভূঁইফোড়দের রাজত্ব অবসান করতে হবে। সামনে আমাদের নির্বাচন। যতদিন বাংলাদেশে দুখী-দরিদ্র থাকবে ততদিন আমাদের এ মানবিক কাজ অব্যাহত থাকবে।
Table of Contents
ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে ওঠে রাজনীতিঃ শেখ পরশ বলেন, ‘স্বাস্থ্য সম্পাদক হবেন অথচ নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্যের খবর নেবেন না। মহিল সম্পাদিকা হবেন আর নির্যাতিত, নিপীড়িত মহিলাদের খোঁজখবর রাখবেন না। আইন সম্পাদক হবেন আর নেতাকর্মীদের আইনি সাহায্য দেবেন না।
এই রকম নেতা আমাদের সংগঠনে দরকার নাই। সামনে যেদিন আসছে এ রকম নেতাকর্মীদের নিয়ে আমরা বেশিদূর আগাতে পারবো না। আর সাংগঠনিক পদ-পদবি বাজার থেকে কিনে আনা কোনো বাজারি পণ্য না যে, চাইলেন পেয়ে যাবেন।’
রোববার (২৯ মে) চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল সরকারি পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভবিষ্যতে যুবলীগ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে মন্তব্য করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘যুবলীগের দুটি দায়িত্ব। প্রথমত যুবলীগকে যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করতে হবে।
দ্বিতীয়ত রক্ষা করতে হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার সকল অর্জনসমূহকে। তিনি বাংলাদেশকে সম্মান এনে দিয়েছেন, সফলতা এনে দিয়েছেন। এ সম্মান আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের নির্ণয় করতে হবে কীভাবে আমরা এ বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। সেজন্য আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেক প্রতিকূলতা। একদিকে আমাদের বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। আবার রাস্তায় আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। অন্যদিকে, শান্তির বাংলাদেশ গড়ার জন্য যুব সমাজকে যুব শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।’
শেখ পরশ আরও বলেন, ‘আমি প্রকাশ্যে বলতে চাই, আমাদের কাছ থেকে পদ-পদবি পাওয়ার জন্য কোনো উপঢৌকন দিতে হবে না। কোনো আর্থিক সহায়তা লাগবে না। সুতরাং আমাদের প্রত্যাশা পদ-পদবি নিয়ে আপনারা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। নিজের কথা ভাবার আগে দলের কথা ভাববেন।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা দুর্নীতিগ্রস্ত হবেন না। দুর্নীতি নামক এ রোগ সমাজে ঢুকলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া কষ্টকর। তবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এটা আমাদের প্রজন্মকে করতে হবে। যুবলীগকেই করতে হবে।
যুবলীগ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রিত সমাজব্যবস্থা গঠন করবে। আর ধাপে ধাপে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আত্ম-সংশোধনের মাধ্যমে দুর্নীতিকে বর্জন করা সম্ভব।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এস এম আল মামুনের সভাপতিত্বে এবং এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, জাতীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, মাহফুজুর রহমান মিতা, খাদিজাতুল আনোয়ার সনিসহ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের পদস্থ নেতারা।
আরও দেখুনঃ
Comments are closed.