বিয়ে করছেন মিয়া খালিফা!

বিয়ে করছেন মিয়া খালিফা।  মিয়া খলিফা পর্নো দুনিয়ার একটি  অত্যন্ত আলোচিত নাম। গত কয়েক বছর ধরেই গুগল সার্চে শীর্ষে ছিলেন এই তরুণী। তবে সেসব ছাপিয়ে এই তারকা এখন শিরোনামে। সব বাদ দিয়ে তিনি নাকি বিয়ে করছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এসেছে তার বিয়ের খবর। সম্প্রতি তার আংটি বদলও হয়েছে। পাত্র প্রেমিক রবার্ট স্যান্ডবার্গ।

বিয়ে করছেন মিয়া খালিফা!
মিয়া খলিফা [ Mia Khalifa ]

[ বিয়ে করছেন মিয়া খালিফা! ]

দীর্ঘদিন ধরেই রবার্ট স্যান্ডবার্গের সঙ্গে প্রেম করছেন মিয়া খলিফা। বেশ কয়েকবার বিয়ের ঘোষণাও দিয়েছেন। কিন্তু সেটি আর বাস্তবে রূপ নেয়নি। অবশেষে আংটি বদল করলেন লেবাননীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন এই পর্নো তারকা।

তার প্রেমিক রবার্ট স্যান্ডবার্গ পেশায় একজন শেফ। তার সঙ্গে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে জনপ্রিয় মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামে বাগদানের ঘোষণা দিলেন মিয়া খলিফা। সঙ্গে সঙ্গে নেট-দুনিয়ায় এ খবর ভাইরাল।

মিয়া খলিফা [ Mia Khalifa ]
মিয়া খলিফা [ Mia Khalifa ]

ভিডিওতে দেখা গেল, বালিশের নিচে সুন্দর হীরার আংটি লুকিয়ে রেখেছিলেন রবার্ট। সেই আংটি দেখার পর বিস্মিত হন মিয়া। গত ১৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর এক রেস্তোরাঁয় ডিনার ডেটের আয়োজন করেন রবার্ট। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে মিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি।

মিয়া খলিফা [ Mia Khalifa ]
মিয়া খলিফা [ Mia Khalifa ]
বৈরুতে জন্ম নিয়ে খলিফা ২০০০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। অক্টোবর ২০১৪ সালে তিনি পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন এবং ডিসেম্বরে পর্নহাব ওয়েবসাইট তালিকায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান নেন। তার পেশা নির্বাচন মধ্যপ্রাচ্যে বিতর্কের বিষয় হয়েছিল, বিশেষ করে একটি ভিডিও, যেখানে তিনি ইসলামিক হিজাব পরিহিত অবস্থায় যৌনকর্ম সঞ্চালন করেছিলেন। যদিও প্রায় তিন মাস পরই তিনি পর্ন শিল্প থেকে অবসর নিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন।

খলিফা ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ সালে লেবাননের বৈরুতে জন্ম নেন। পরবর্তীতে দশ বছর বয়সে, দক্ষিণ লেবাননের দ্বন্দ্বের জোরে জানুয়ারি ২০০১ সালে পরিবারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত হন। তার পরিবার ছিল ক্যাথলিক এবং তিনি সেই ধর্মের অধীনে “অত্যন্ত রক্ষণশীল” পরিবারে বেড়ে উঠলেও পরবর্তীতে তার অনুশীলন করেন নি।

তিনি বৈরেুতের একটি ফরাসি বেসরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন, যেখানে তিনি ইংরেজি শিখেছিলেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসার পর তিনি মন্টগোমেরি কাউন্টি, মেরিল্যান্ডে বসবাস করেন এবং সেখানকার উচ্চ বিদ্যালয়ে ল্যাক্রোসি বাজাতেন। খলিফা “সেখানকার সবচেয়ে কৃষ্ণাঙ্গ এবং অদ্ভুত মেয়ে” হিসেবে উচ্চ বিদ্যালয়ে উত্যক্তির শিকার হওয়ার কথা বলেছেন, যা ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পরে তীব্রতর হয়ে উঠেছিল।

ম্যাসানুনটেন মিলিটারি একাডেমিতে ক্ষণ্ডকালীন পড়াশোনার পর খলিফা কলেজ পড়ার জন্য টেক্সাসে চলে আসেন। কয়েক বছর পর ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস অ্যাট এল পাসো থেকে ইতিহাস বিষয়ে বিএ ডিগ্রি নেন তিনি।

আরও পড়ুন: