নগরীর বিভিন্ন স্থানে ‘শীতের ভাপা পিঠা’ বিক্রির ধুম পড়েছে। গরম পিঠা আর পিঠার সুগন্ধে মন আনচান করে ওঠে পিঠা প্রেমীদের। এসব ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানে পিঠা প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষনীয়।
সরোজমিনে দেখাগেছে, শীতের সময় এখানকার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভাপা পিঠার ব্যবসা।
এছাড়া সন্ধ্যার পর বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, অফিস, দোকান, ক্লাব, আড্ডায়ও পিঠার আয়োজন লক্ষ্য করা যায়। শীতকালে শ্রমজীবী, রিকশাচালক, ড্রাইভার, শ্রমিকসহ অভিজাত পরিবারের লোকজনের কাছে প্রিয় শীতের এ পিঠা। প্রায় প্রতিদিন বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা ও পাটিশাপটা পিঠা খেতে পিঠা প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে নগরীর সর্বত্র। আর এসব পিঠার দোকান জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ও রয়েছে। সকালটা কুয়াশার মাঝ দিয়ে শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরম ।
বিকেল গড়ালেই শুরু হয় অগ্রায়ন মাসের শীত। আর এ শীতে নগরীর মানুষের মজাদার খাবার হলো ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটিশাপটা পিঠা।
এ বিষয়ে পিঠা খেতে আসা সরকারী ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৌমেন, টিটু ও দিলীপ বালা বলেন, প্রায় প্রতিদিন বিকেলে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়াতে যাওয়ার সময় আমি একটা করে ভাপা পিঠা খাই। আমাদের পাঠ্য বইয়ে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠার নাম পড়েছি ও শুনেছি কিন্তু আমার বাসাতে কখনো এসব পিঠা তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তাই বাজারে পিঠার দোকানে এসে দেখলে লোভ সামলাতে পারি না।
এ ব্যপারে নগরীর সদর রোডে পিঠা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠার কদর বেড়ে যায়।
এ বছর আগে ভাগে শীত পড়ায় আমার দোকানে পিঠা বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। তবে অন্যান্য পিঠা তৈরিতে কিছু ঝামেলা থাকায় ও চাহিদা কিছুটা কম থাকায়, ভাপা পিঠা বেশি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করে থাকি। যা পিঠা তৈরির উপকরনসহ অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার টাকা থেকে ১২’শ টাকা লাভ হয়।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে বরিশাল মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক কাজী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান সময়ে এসব পিঠা উৎসব গ্রাম অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় উঠেই গেছে। এ অগ্রায়ন মাসে গ্রামগুলোতে গোলায় ধানও উঠতে শুরু করেছে। এখন আগের মতো বাসা-বাড়িতে এসব পিঠার আয়োজন না থাকলেও তা বিক্রি হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে নগরীর বিভিন্ন স্থানে। পিঠার দোকানে ভিড় করছেন ধনী-গরীব সব শ্রেণী পেশার মানুষ।
সাংবাদিক কাজী আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, কোনো ঝামেলা ছাড়াই হাতের নাগালে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা ও পাটিশাপটা পিঠা খেতে পাচ্ছি। দামও কম আবার খেতেও বেশ সুস্বাদু। তাই আমি ও আমার বন্ধুরা প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় এসব দোকানে পিঠা খেতে চলে আসি।
গুণীজনরা রাষ্ট্রকে আলোকিত করেন, সঠিক পথ দেখান : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী