বরিশালে লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

জেলায় প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে যে যার মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনেকে আবার পুরনো লেপ তোশক বের করে মেরামত করছেন। তাইতো লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বরিশালের স্থানীয় ধনুকর বা কারিগররা।

বরিশালে লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

সরেজমিনে দেখাগেছে, শিমুল তুলার লেপ তোশক ও বালিশের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এ অঞ্চলে। এ কারণে শিমুল তুলার মূল্য অনেকটা বেশি। বরিশাল নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে  ভিড় জমাচ্ছে লেপ তোশক বানানোর দোকানগুলোতে।

আর শীতের আগমনে লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। নগরীর পদ্মাবতী রোড, বাজার রোড, সাগরদী, চৌমাথা, নতুন বাজার,কাশিপুর বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোশকের দোকানের সবকটিতেই ছিল কারিগরদের লেপ বানানোর ব্যস্ততা। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন রঙ-মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ দৃশ্য চলছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজার গুলোতেও।

বরিশালে লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

লেপ-তোশক তৈরি ধনুকর সঞ্জয় মালাকর, অশোক দাস ও বিনয় মালাকর জানান, কিছুদিন পর ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়বে। ক্রেতাদের এ আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে। তাছাড়াও এ অঞ্চলে এখনো ধান কাটা পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই গ্রামাঞ্চল থেকে লেপ তোশক চাহিদা তেমন আসছে না। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে। ধনুকররা আরো জানান, একটি লেপ বা তোশক তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে ১ ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে ৮ থেকে ১০টি লেপ বা তোশক তৈরির কাজ করে থাকেন।

এবিষয়ে পদ্মাবতী রোডের লেপ-তোশক ব্যবসায়ী মো. আরিফুর রহমান জানান, শীত মৌসুমে ৩ মাস কারিগররা লেপ-তোশক তৈরির কাজ পান. বছরের বাকি সময় তাদের এ কাজ থাকে না। তখন তারা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন। তবে শীত বাড়ার সাথে সাথে চাহিদা বাড়তে পারে। তুলার মান ও পরিমানের ওপর নির্ভর করে লেপ তোশক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ ২’শ থেকে ৩’শ টাকা বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ-তোশক বিক্রি করে তাদের ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা লাভ হয়।

বরিশালে লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

এব্যপারে নগরীর চক-বাজার এলাকার ভূইয়া বস্ত্র্রালয়ের প্রোপাইটর এডভোকেট মো. মিলন ভূইয়া জানান, শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ তোশক চাহিদা আরো বাড়বে। বর্তমানে বিকিকিনি ভালো এবং বাজারে লোক সমাগম রয়েছে। অনেকেই আগে ভাগে পুরনো লেপ তোশক, বালিশ মেরামত ও নতুন ভাবে তৈরির অর্ডার দিচ্ছে। সারা বছর আমাদের তেমন ব্যবসা হয় না। শীতের সময় একটু ব্যবসা ভালো হয়। আবার শীতের শুরুতেই লেপ বেশ ভালোই বিক্রি হয়।

আরও দেখুনঃ

ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ 2021

বরিশাল