বরিশালে অনলাইন ও এফবিতে এ জমে উঠেছে কোরবানীর পশুর হাট। মহামারী করোনা ভাইরাসের এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও নিরাপদ দূরত্ব বাজায় রেখে কিভাবে পশুর হাট বসবে, একথা মাথায় রেখে অনেকেই বরিশালে অনলাইন ও এফবিতে সেরে নিচ্ছেন পশু কেনাবেচা।বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেই চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ জুলাই মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর নামে পশু কোরবানী করে তার সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেন মুসলমানরা।

বরিশালে অনলাইন ও এফবিতে কোরবানীর পশুর হাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া তথ্যানুসারে জানাগেছে, খামারীরা অনলাইন ও এফবিতে পশুর নির্ধারিত মূল্য, ছবি, ওজন (সম্ভব্য মাংস) ও নিজ মোবাইল নম্বর দিয়ে দিচ্ছে। ক্রেতারা তা দেখার পর যোগাযোগ করে পশু ক্রয় করছেন।
বরিশালে অনলাইন ও এফবিতে গরু এবিষয়ে আলাপকালে গড়িয়ারপাড়, কেমিষ্ট এগ্রোবায়োটিক লি.-এর গাজী মো. শহিদুল ইসলাম নামের এক কর্মচারী জানান, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ভয়ে এবারেও তেমন বলার মতো কোন গরুই উঠেনি। যাওবা উঠেছে তার দাম পাবো কিনা তাতে সন্দেহ আছে। তবে ধারনা করা যায় চলতি বছর কোভিড-১৯-এর কারণে গত বছরের তুলনায় মানুষ পশু কোরবানী দিবে কম। তবে এবছরে ত্রেতারা অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানীর গরুর জন্য যোগাযোগ করছে।এবিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, অন্যান্য বছরের ন্যায় চলতি বছর যেখানে সেখানে গরুর হাট বসানো যাবে না।

এবার বরিশাল নগরীতে দুটি স্থায়ী এবং চারটি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। অন্য বছরের মতো এবারও জেলার উল্লেখযোগ্য পশুর হাটগুলো হলো সদর উপজেলার চরমোনাই গরুর হাট, বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া গরুর হাট, বানারীপাড়ার গুয়াচিত্রা গরুর হাট এবং গৌরনদী উপজেলার কসবা গরুর হাট। এব্যাপারে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম জানান, জেলায় প্রাণি সম্পদ বৃদ্ধিতে আগের চেয়ে অবস্থা উন্নীত হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের তরুন ব্যবসায়ীরা পশু খামারের ব্যবসায় ঝুঁকছে। এ অঞ্চলে চাহিদার বড় সরবরাহ আসে চরাঞ্চলে কৃষকদের পালিত পশু থেকে।
এছাড়া বরিশাল জেলার স্থানীয় খামার এবং গৃহস্থের পশুও আসছে বরিশলের হাটগুলোতে। বরিশালে কোরবানীর পশুর চাহিদার ৮০ ভাগ জোগান হয় স্থানীয়ভাবে। বাকি ২০ ভাগ আসে আশপাশের জেলা থেকে।
আরও দেখুনঃ
Comments are closed.