মিরকাদিমে ফার্নিচারের মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতি

জেলার মিরকাদিমে শনিবার রাত সাড়ে ১২টায় ফার্নিচারের মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঘটনায়  ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস রাত ১ টা থেকে চেষ্টা করে রাত প্রায় ২টার দিকে আগুন নিয়ন্তণে আনলেও পুরোপুরি আগুন নেভাতে  আরও সময় লাগছে।

মিরকাদিমে ফার্নিচারের মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতি

মিরকাদিমে ফার্নিচারের মার্কেটে অগ্নিকান্ড:গভীর রাতে আকস্মিক আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে। ফার্নিচার মার্কেটের দোকানগুলো একের পর এক পুড়ে যায়।

জেলার অন্যতম বৃহৎ ফার্নিচারের মার্কেটে ঘুমন্ত লোকজন ছুটাছুটি করে এসেও দোকানের মালামাল বের করতে আনতে পারেনি। ফার্নিচার ছাড়াও হার্ডওয়ার, কাগজের ঠোঙ্গাসহ নানা ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়েগেছে।মার্কের পাশে রিকাবীবাজার খাল থেকে দমকলে পানি দিয়েও আগুন থামাতে ফায়ার কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়।

মিরকাদিমে ফার্নিচারের মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতি

প্রচন্ড তাপে আশপাশের মার্কেটেও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।দোকানগুলোর কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না। আগুনের তীব্রতা এত বেশী ছিল যে স্থানীয়ভাবে আগুন নেভানোর মত অবস্থাও ছিল না। মার্কেটের উত্তর পাশের খেলার মাঠ থেকে লোকজন প্রত্যক্ষ করলেও তাপে সামনে যেতে পারছিল না।

ঘুমন্ত মিরকাদিমবাসী প্রাণান্তকর চেষ্টায়ও শেষ রক্ষা হয়নি। মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাই হয়ে গেছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ রাত ৩ টায় জানান, আগুনে ১৩টি দোকান সম্পূর্ণ এবং চারটি আংশিক পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধরানা করা হচ্ছে ক্ষতির পরিমান প্রায় কোটি টাকা।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান. আগুনের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয়রা ধারনা করছেন- মার্কেটের পশ্চিম পাশে বটতলার বাঁশের গদি থেকে আগুনের সূত্রপাত। মশা তানোর জন্য রাতে এখানে আগুন জ¦ালানো হয়।

মিরকাদিমে ফার্নিচারের মার্কেটে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষতি

ফায়ার সার্ভিসের কমলাঘাট নৌ ফায়ার স্টেশনের একটি এবং মুন্সীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের দুটি মোট তিনটি ইউনিট ঘন্টাধিকাল চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল আবেদীন জানান, ঘটনাস্থলে মানুষের জান-মাল রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দীক বলেন,ঘটনাস্থলে, আগুনের শিখা অনেক উপরে উঠে যায়। আগুণের ভয়াবহতা অনেক বেশী থাকায় নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বিলম্ব এবং ক্ষতির পরিমান বেশী হয়েছে।