নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

তিরি আজ  দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

 

নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত : তথ্যমন্ত্রী

 

নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত : তথ্যমন্ত্রী

নির্বাচন পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক টেরি এল. ইজলে  ও আয়ারল্যান্ডের ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক রিপোর্টার নিক পাওয়েল এবং ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী, পরিচালকদের মধ্যে অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. আজাদুল হক, মোহাম্মদ ইকবাল বাহার এবং আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বৈঠকে যোগ দেন।

 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ইলেকশন মনিটরিং টিম আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল, আগামী নির্বাচন নিয়ে তারা নানা প্রশ্ন করেছে বিশেষ করে নির্বাচন করতে সরকার কি প্রস্তুতি নিচ্ছে বা নির্বাচন কমিশনের কি পরিস্থিতি, সেগুলো তারা আলোচনা করেছেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি তাদের জানিয়েছি নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং নির্বাচনকালে বর্তমান সরকার শুধু ফ্যাসিলিটেটরের ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রশাসন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত হয় তাদের ওপর সরকারের কর্তৃত্ব থাকে না। সরকার নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মকর্তাকে বদলী বা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না।’

 

নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত : তথ্যমন্ত্রী

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ধারণা, তারা বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের অধীনে বর্তমান সংবিধানের আলোকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ সুন্দর নির্বাচন করা সম্ভব এবং নির্বাচনকালে সরকারের ভূমিকা গৌণ ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাই বেশি। তারা জেনেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশন যে কতো শক্তিশালী সিদ্ধান্ত  গ্রহণ করতে পারে, যেমন সরকারি দলের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন তারা বাতিল করেছিল। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ হয়েছে এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ ৫০ শতাংশের বেশি ছিল।

সেখানে একজন প্রার্থীর গায়ে একটি ঘুষি লেগেছে যা সমীচীন হয়নি। কিন্তু যে ঘুষি দিয়েছে তাকেসহ আশেপাশের অনেককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা-১৭ আসনে একজন প্রার্থীকে যারা হেনস্তা করেছিল সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ৫০ জনের বেশি মৃত্যুবরণ করেছে।’

 

নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতায় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আশ্বস্ত : তথ্যমন্ত্রী

 

বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির বেশির ভাগ নেতারাই নির্বাচন করতে চায়। বিএনপি এমন একটি দল যে দলের কাউকে ইউনিয়ন পরিষদ বা সিটি কর্পোরেশন কোনো নির্বাচনই করতে দিচ্ছে না। অথচ তাদের দলের প্রায় সবাই নির্বাচন করতে চায়। সেটির বহি:প্রকাশ আমরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে দেখেছি, উকিল আব্দুস সাত্তারকে দেখেছি। এ রকম বহু আব্দুস সাত্তার আগামী নির্বাচনে বেরিয়ে আসবে।’