বঙ্গোপসাগরে নিমজ্জিত জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া পদ্মা সেতুর মালামালসহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

বঙ্গোপসাগরে নিমজ্জিত জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া পদ্মা সেতুর মালামালসহ ১৩ জন গ্রেপ্তার, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পদ্মাসেতু প্রকল্পে নেয়ার সময় বঙ্গোপ-সাগরে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে নির্মাণ সামগ্রী চুরির অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ।

তাদের কাছ থেকে সেতু প্রকল্পের চার  মেট্রিক টন নির্মাণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। নৌপুলিশ সূত্র জানায়, নৌপুলিশের সদরঘাট থানার টিম আজ সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামের পশ্চিম পটিয়াস্থ দক্ষিণ শাহ মীরপুর এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে এসব নির্মাণ সামগ্রীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলো : নুরুল আফসার (৩০),  আইয়ুব আলী (৫৫), জেবল হোসেন (৫৯), আলমগীর (৩২), শেখ মোহাম্মদ (২৮), আক্কাস (৪০), রফিক (৪৬), মোহাম্মদ আলী (৪৭), খায়ের আহম্মেদ (৩০), আব্দুল হামিদ (২৭), সোহরাব হোসেন (৬০) ও আরাফাত (২৫)। জিজ্ঞাসাবাদে সকলেই একই চক্রের সদস্য বলে জানা গেছে।

বঙ্গোপসাগরে নিমজ্জিত জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া পদ্মা সেতুর মালামালসহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

নিমজ্জিত জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া নিয়ে নৌপুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়া ‘হ্যাং গ্যাং-১’ নামে একটি কার্গো জাহাজ গত ১৩ জুলাই সাগরের নোয়াখালী ভাসানচরের কাছে ডুবে যায়। সেতুর কাজে ব্যবহারের জন্য জাহা-জটিতে প্রায় এক হাজার ২০০ মেট্রিক টন লৌহজাত নির্মাণ সামগ্রী ছিল।

বঙ্গোপসাগরে নিমজ্জিত জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া পদ্মা সেতুর মালামালসহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

 

পদ্মা সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের মালামালসহ জাহাজ ডুবে যাওয়ার খবর জানতে পেরে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তিন মাসে জা-হাজের অর্ধেক মালামাল উদ্ধার করে প্রকল্পে নিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে মালামাল উদ্ধার বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় জাহাজটিকে অরক্ষিত রেখেই উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। সুযোগটিকে পুরোপুরি কাজে লাগায় সংঘবদ্ধ একটি চোর চক্র। তারা অবশিষ্ট মালামাল দ্রুত সরিয়ে ফেলে।

বঙ্গোপসাগরে নিমজ্জিত জাহাজ থেকে চুরি যাওয়া পদ্মা সেতুর মালামালসহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

পুলিশ জানায়, চক্রটি পরে এসব চোরাই মালামাল কর্ণফুলী নদীতে এনে বিক্রি করে। গোপনে এ খবর জানতে পেরে নৌপুলিশের একটি দল দু’টি নৌকা থেকে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে পদ্মা সেতুতে ব্যবহারের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত চার মেট্রিক টন গ্যালভানাইজিং লোহার অ্যাংগেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ১৩ জনের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলায়। বাগেরহাট ও নোয়াখালীর লোকজনও রয়েছে। এরা বিভিন্ন সময়ে আনোয়ারা উপকূলের কাছে ডুবে যাওয়া দেশি-বিদেশি জা-হাজ থেকে মালামাল চুরি করতে অভ্যস্ত।

আরও দেখুনঃ