নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে বিসিসির পদক্ষেপ

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে নিরাপদ সড়ক, জলাবদ্ধতা, মশক নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন ও নগরীর নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)।
বিসিসি-এর গণসংযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা বিশ্ব কোবিট-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত। করোনা (কোবিট-১৯) কে মাথায় রেখে জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি)  চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছে সর্বোমোট প্রায় ৪’শ ১৬ কোটি টাকা। নগরীর ভৌত ও অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকৌশল বিভাগের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনার ভিত্তিতে রাস্তা, ড্রেন, ব্রিজ, কালভার্ট ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে।

নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে বিসিসির পদক্ষেপ

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরে কোন প্রকল্প না পাওয়া সত্ত্বেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রথম পাঁচ বছরের গ্যারান্টিতে ৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ ৪১ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার, ২’শকিলোমিটার  মিটার ফুটপাত নির্মাণ, ১.২০ কিলোমিটার ড্রেন কাম ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৩.৫কি.লোমিটার. খাল পুন: খনন ও পরিস্কারকরণ, ১টি সেবক কলোনীর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন এবং নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে আধুনিক এসফল্ট মিক্সিং প্ল্যান্ট এর সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে।

নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে বিসিসির পদক্ষেপ

২০২১-২২ অর্থবছরে ৫২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৩০ কিলোমিটার . সড়ক সংস্কার, বীরমুক্তিযোদ্ধ সাহান আরা বেগম পার্ক, ২ টি সেবক কলোনীর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন, ২টি মার্কেট, ১টি আধুনিক গ্যারেজ, কাম ওয়ার্কসপ, চলমান বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট সিসিএইউডিপি  (কেএফ ডব্লিই) প্রকল্পের আওতায় ৪ েিলামিটার খাল খনন ও খালের পাড় সংরক্ষণকাজ, ৩২ কিলোমিটার . ড্রেন কাম ফুটপাত, ১টি ফুটপাত, ১টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, রাস্তার সৌন্দর্যবর্ধন  (জেব্রা ক্রোসিং ও রোড সাইন) ১২টি।রোড মার্কিং ৫ কি.মি, ১২ হাজার সড়ক বাতি মেরামতকরণ, বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম এর অসমাপ্ত কাজ, আর.সি.সি ইয়ার্ড, ২ হাজার বর্গ কিলোমিটার, রাস্তা নির্মাণ ও পরিচ্ছন্নতা কাজের আধুনিকায়ন যন্ত্রপাতি ক্রয় ১০টিসহ অন্যান্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

সকল রাস্তা, ড্রেন ও অবকাঠমো উন্নয়ন এবং খাল পুন: খনন, পুূন: উদ্ধার ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে পরামশক প্রতিষ্ঠান ইিজিআএস এর মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্টাডিপূর্বক ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যা অনুমোদন স্বাপেক্ষে সম্পন্ন করা হবে। শুধু তাই নয়, নগরীর প্রতিটি কাজকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে, বজ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, পানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, মশক বিস্তার রোধ, রাস্তা ঘাটের আধুনিকায়ন, রোগ নিয়ন্ত্রণ, নগরীর আলোকায়নসহ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কাজ করে যাচ্ছে বিসিসি।

নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে বিসিসির পদক্ষেপ
এছাড়াও সম্মূখ সারিতে করোনা যোদ্ধা হিসেবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্বাস্থ ঝুঁকির কথা চিন্তা করে প্রয়োজনীয় পিপিই, হ্যান্ডগ্লোবস, মাস্ক, ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হয়েছে।করোনা য় সমগ্র সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিদিন ৪২ হাজার লিটার জীবানুনাশক তরল ছিটানো হয়েছে।এ প্রসঙ্গে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বাসস’র সাথে আলাপকালে বলেন, চলতি অর্থ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যেমাত্রাকে (এসডিজি) সামনে রেখে বিসিসি’র কর্মপরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন স্বাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অবকাঠমো গত উন্নয়ন করা হবে।

মশক নিয়ন্ত্রণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও গবেষনার আলোকে ইতিমধ্যে মশার ঔষধ পরিবর্তন করা হয়েছে এবং মনিটরিং কার্যক্রমে আধুনিকায়ন ও জন সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিসিসি মেয়র বলেন, বর্ধিত ওয়ার্ডগুলোসহ অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে মৌলিক নাগরিক সেবাসমূহ বাস্থবায়ন করার জন্য আমি সচেষ্ট থাকবো। বিশেষ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিয়ন্ত্রণ এবং এ সংক্রান্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের উপর আমি জোর দিচ্ছি।মেয়র বলেন, বরিশালবাসীর স্বপ্নপূরনে এ বাজেট। এ বাজেট সকল নগরবাসীকে সাথে নিয়েই আমরাই গড়বো আগামীর বরিশাল।