দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে নদী ভাঙ্গন রোধে ৫২২ কোটি টাকার কাজ চলছে

জেলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার মেঘনা নদী ভাঙ্গন রোধে তীর সংরক্ষণে ৫২২ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প’র কাজ শুরু হয়েছে।

দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে নদী ভাঙ্গন রোধে ৫২২ কোটি টাকার কাজ চলছে

নদী ভাঙ্গন রোধ:গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এ দুই উপজেলার ২ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার এলাকায় সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপনের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। এর মধ্যে দৌলতখানে ১ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার এবং বোরহানউদ্দিনে ১ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে।

দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে নদী ভাঙ্গন রোধে ৫২২ কোটি টাকার কাজ চলছে

এছাড়াও পূর্বে নদী ভাঙ্গন রোধে তীর রক্ষা কার্যক্রমের ৩ কিলোমিটার এলাকা শক্তিশালী করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা করা যাবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী আখতার বাসস’কে বলেন, ‘ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলাধীন দৌলতখান পৌরসভা ও চৌকিঘাট এবং অনান্য অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙ্গণ হতে রক্ষা প্রকল্পে’র মাধ্যমে এ কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পে নদী তীর রক্ষায় সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং চলছে।

বাবুল আখতার আরো বলেন, এখানে সিসি ব্লক থাকছে ৫০-৫০-৫০ সাইজ এবং ৪০-৪০-৪০ সাইজের। এছাড়া জিও ব্যাগ রয়েছে বালু ভর্তি ২৫০ কেজি ও ১৭৫ কেজি ওজনের।

দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে নদী ভাঙ্গন রোধে ৫২২ কোটি টাকার কাজ চলছে

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দৌলতখান উপজেলার চরপাতার চৌকিঘাট ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাকিমুদ্দিন বাজারসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙ্গণ থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য (ভোলা-২) আলী আজম মুকুল বলেন, আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্থানীয়দের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি পূরণ হচ্ছে। তাই স্থানীয়দের পক্ষে নদী তীর রক্ষায় প্রকল্প অনুমোদন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এমপি মুকুল।

দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে নদী ভাঙ্গন রোধে ৫২২ কোটি টাকার কাজ চলছে
এদিকে প্রমত্তা মেঘনার ভাঙ্গণ বন্ধে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প চালু হওয়ার খবরে আনন্দ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। এতে করে আতংক কেটে গিয়ে স্বস্তি ফিরে আসছে ভাঙ্গণ কবলিত এলাকার হাজারো মানুষের।

প্রকল্প’র কাজ সম্পন্ন হলে মানুষের জমির দাম বৃদ্ধিসহ সার্বিক জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।

আরও দেখুনঃ

মাদারীপুরে এক ভবনেই মিলবে সরকারি ৩০ দপ্তরের সেবা

নদীভাঙন