জেলার বাসাইল উপজেলায় ঝিনাই নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় গত সপ্তাহে হঠাৎ নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫টি বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ কিছু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
উপজেলার ফুলকি, কাশিল, কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়নের অন্তত ১৬টি গ্রামে ইতোমধ্যে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
নদী ভাঙনের আতঙ্কে পাঁচশতাধিক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। ভাঙনের হুমকিতে পাকা সড়ক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, হাট-বাজারসহ বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি স্থাপনা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা নদী ভাঙনের জন্য সারাবছর ঝিনাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ড্রেজার ও বেকু দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ি করছেন।
অন্যদিকে, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, নদীর ভাঙন রোধে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ অব্যাহত আছে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ফুলকি, কাশিল, কাঞ্চনপুর ও হাবলা ইউনিয়নের প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকার ইতোমধ্যে নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে।নদীর ভাঙন কবলিত এলাকার মধ্যে রয়েছে- ফুলকি ইউনিয়নের দোহার, হাকিমপুর, জশিহাটি এবং একঢালা গ্রাম, কাশিল ইউনিয়নের দাপনাজোর, দেউলী, কামুটিয়া, নর্থখোলা, কাশিল, থুপিয়া, নাকাছিম ও বিয়ালা গ্রাম, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কাজিরাপাড়া, বিলপাড়া, মানিকচর ও আদাজান গ্রাম। কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বিলপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বীর নিবাসটিও ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।
ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বাবুল জানান, ঝিনাই নদী তীরবর্তী দোহার, হাকিমপুর, জশিহাটি পশ্চিমপাড়া ও একঢালা এলাকায় প্রায় দশটি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অনেক কৃষকের আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তবে, দোহার পয়েন্টে ভাঙন কবলিত বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।এ বিষয়ে বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম জানান, নদী ভাঙন রোধে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।গত বর্ষায় কামুটিয়া পয়েন্টে ভেঙ্গে যাওয়া ঝিনাই নদীর বেড়িবাঁধটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। এছাড়াও চলতি সপ্তাহে দোহার পয়েন্টে ভাঙন মোকাবেলায় তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরু হয়েছে।
জেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ঝিনাই নদীর ভাঙন রোধে বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ অব্যাহত আছে। নতুন করে ভাঙন কবলিত পয়েন্টগুলোতে জরুরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও দেখুনঃ
Comments are closed.