শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার লেবাস ধরে সামরিক বাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসির পরোয়ানায় স্বাক্ষরসহ বর্বরতম হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছে জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের সাথেও তিনি জড়িত ছিলেন। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক ঘৃন্যতম ও কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ দেশের স্বাধীনতা সহ্য করতে না পেরে খুনী জিয়াউর রহমান ও তার দোসররা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে।
শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দারুল ফজল মাকেটস্থ মুক্তিযোদ্ধা ভবনে ১৫ ও ২১ আগস্ট বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে নিহত শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, খুনী জিয়াউর রহমানের কবরের অস্তিত্ব খুঁেজে পাওয়া যায়নি। তার কবরের নামে একটি জায়গা দখল করে রাখা হয়েছে। জিয়ার পরিবার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে দেশে পাকিস্তানী শাসন ব্যবস্থা কায়েমসহ তালেবান রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব অনেক শক্তিশালী। বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও স্বাধীনতা এ তিনটি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৭৫ সালের নারকীয় হত্যাকান্ডের পর ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সমস্ত ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে আপনারা দেশকে ভালোবাসুন, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. সরওয়ার আলম চৌধুরী মনির সভাপতিত্বে ও মহানগর কমিটির সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজীশ ইমরানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদের সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, সহকারী কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. খোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.ওমর ফারুক রাসেল।