চট্টগ্রামে দুই ভাইয়ের সাত সদস্যের ছিনতাই দল অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ডবলমুরিং থানা পুলিশ।

ছিনতাই দল অস্ত্রসহ গ্রেফতার :এসময় তাদের কাছ থেকে তিনটি স্টিলের টিপ ছোরা, ১৪টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল, একটি মানিব্যাগ ও নগদ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা (ছিনতাইকৃত) উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং, আকবরশাহ ও হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই দলদের গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিএমপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
গেস্খপ্তারকৃতরা হলেন- মো.হাসান মাহমুদ (৪০), মো. আনোয়ার হোসেন সোহাগ (৩৫), মো.আব্দুল মতিন (৫০), মিদুল ইসলাম হামজা (২২), সুমন আল হাসান প্রকাশ মো.সুমন (২৬), মো. রানা (৩০) ও মো. বাবলু প্রকাশ বাবুল (২৭)। এদের মধ্যে রানা ও বাবুল আপন ভাই। মূলত তাদের নেতৃত্বেই এই ছিনতাইকারী চক্রটি গড়ে উঠে।
পুলিশ জানিয়েছে, রানা ও বাবলু। দুজনের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানের আধারমানিক গ্রামে। তবে থাকে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আনন্দধারা আবাসিকের একটি ভাড়া বাসায়। এই দুই ভাই চাকরি বা ব্যবসা না করে নিজেরাই গড়ে তুলে একটি ভয়ঙ্কর ছিনতাইকারী দল।
ওই দলে সদস্য হিসেবে নেওয়া হয় ঢাকা, নোয়াখালী, লক্ষীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজন। রানা-বাবলু’র পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে চক্রের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন জেলা থেকে চট্টগ্রাম নগরে একত্রিত হতো এবং কিছু নি¤œমানের আবাসিক হোটেলে অবস্থান করতো।
এরপর তারা একত্রিত হয়ে সপ্তাহের রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকিং সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের টার্গেট করে ছিনতাই কাজে জড়িত থাকতো তারা।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং জোন) আরিফ হোসেন বলেন, ‘ছিনতাই দলকারীরা ঢাকা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে। তারা নগরের রাস্তা, বাসে ও সিএনজি অটোরিকশায় ছিনতাই করতো।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দেওয়ানহাট মোড়ের পোস্তার পাড় জামে মসজিদের সামনে থেকে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে দেশিয় অস্ত্রসহ অবস্থানের সংবাদ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর রাতেই নগরের আকবরশাহ ও হালিশহর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ছিনতাই দলদের কাছ থেকে তিনটি স্টিলের টিপ ছোরা, ১৪টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল, একটি মানিব্যাগ ও নগদ ১৫ হাজার ৭০০ টাকা (ছিনতাইকৃত) উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।’
সাতজনের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।’
আরও দেখুনঃ