চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের চসিক মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে লকডাউন অব্যাহত রাখা আমাদের দেশে সম্ভব নয়। মহামারি কোভিডের দেড় বছরের অভিঘাতে দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা বহুমাত্রিক সংকটে পড়েছে। এই সংকট থেকে মুক্তি কবে পাওয়া যাবে তা এখনো বিজ্ঞানীদের গবেষণায় স্পষ্ট নয়। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা ছাড়া আর কোন বিকল্প পথ নেই।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে কোভিড-১৯ অভিঘাতে জীবিকার সংকটে পড়া ৫০ বধির পরিবার ও ১২০ নরসুন্দর পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণকালে চসিক মেয়র এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সচিব খালেদ মাহমুদ, সেলুন মালিক সমিতির সভাপতি ভূপতি শীল, সাধারণ সম্পাদক মিলন শীল, বধির সংস্থার নেতা মনির হোসেন, আবু তাহের, মো. পারভেজ প্রমুখ।চসিক মেয়র আরো বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরামর্শ অনুযায়ী মাস্ক পরিধানের পাশাপাশি ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, গণপরিবহনে চলাচলে নিরাপদ দূরত্ব এবং সর্বক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ বিধিমালা অনুসরণ করে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমানো সম্ভব।

বিশাল জনগোষ্ঠীর এই দেশে কোভিডে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য একা সরকারের পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। সেই বিবেচনায় সমাজের সামর্থ্যবান ও বিত্তবানদের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসা আজ সময়ের দাবি। এই সংকটকাল উত্তরণ ও দেশের অর্থনীতির চাকাকে আবারো সচল করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। মহামারিসহ সকল সংকটকালে দেশ্রপ্রেম ও মানবতা জাগ্রত করে কাজ করতে পারলে সংকট উত্তরণে কোন ধরণের সমস্যা হতে পারে না।
গণটিকা গ্রহণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে তা সন্তোষজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক উদ্যোগে কোভেক্সর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ৬ কোটি টিকা পেতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দেশের মানুষের জন্য টিকা প্রাপ্তিতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


Comments are closed.