চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়: চট্ট গ্রাম রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ গামী বিজয় এক্সপ্রেস বাদে বাকি ট্রেন গুলো ছেড়ে গেছে নির্ধারিত সময়ে। যাত্রী চাপ বাড়লেও যথাযথ প্রস্তুতি থাকায় ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় এখন পর্যন্ত ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্ট’গ্রাম রেল স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভি’ড়।

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

চট্ট গ্রাম রেলওয়ে স্টেশ নের ম্যানে জার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, ঈদ যাত্রায় আজ কিছুটা যাত্রী চাপ বেড়েছে। চট্ট’গ্রাম স্টেশন থেকে অধিকাংশ ট্রেনই সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে। তবে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল সকাল ৯টায়। ট্রেনটি চট্ট’গ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি স্টেশনে আসতে দেরি হওয়ায় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ছাড়ে। তিনি আরও বলেন, বিকেল ৩টায় নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি এক্সপ্রেস। এছাড়া ৩টা ২০মিনিটে যায় চাঁদপুরগামী স্পেশাল-২ ট্রেনটি।

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

 

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

চট্টগ্রামে রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ৭টা ২০মিনিটে পাহাড়িকা এক্স প্রেস, ৭টা ৪০মিনিটে সাগরিকা এক্সপ্রেস, ৮টা ৩০মিনিটে ছেড়ে যায় চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনেই অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে দেখা গেছে।

দুই বছর পর ঈদ করতে বরগুনায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন বেসর কারি চাকরি জীবী আবদুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, চাঁদপুরগামী স্পেশাল ট্রেনে করে চাঁদপুর যাব। চাঁদপুর থেকে লঞ্চে বরিশাল যাব। তারপর বাসে বরগুনা যাব। করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদ করতে হয়েছে কর্মস্থলে। বাড়িতে সবার সঙ্গে ঈদ করার যে আনন্দ, তা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে, তাই ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি। আবার সবাই মিলে ঈদ করব, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে।

 

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

 

বেলা ২টায় চট্ট’গ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ট্রেনের অপেক্ষায় অসংখ্য মানুষ। তাদের কারও কাঁধে ব্যাগ, কারও কাছে ছিল লাগেজ। তীব্র গরম যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে। ৩টায় ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী মহানগর গোধূলি ট্রেনের যাত্রী আজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদের সময় বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি অন্য রকম। আসলে এই যাত্রার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। কাল ছুটি পেয়েছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি।

 

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়

 

চট্ট গ্রামের একটি বেসর কারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমরান আহম্মদ বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আখাউড়ার টিকিট কেটেছি। ঈদে বাড়িতে গেলে সবার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। সবার মধ্যে আনন্দের আমেজ থাকে। সময়ও ভালো কাটে।

চট্ট গ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভি’ড়ে আফতাবুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, আমি ঢাকায় যাব। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল যাব। টিকিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠছি। ঈদ কে সামনে রেখে এইসব মানুষের তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়ি যাবার ভি’ড় যেন বলে দেয় তাদের পবিবার এর সাথে ঈদ করার আনন্দ ই আলাদা ।

আরও দেখুনঃ