নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করল সিসিক

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বর্জ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই অপসারণ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।গতকাল ঈদের দিন সকাল থেকে পশুর বর্জ্য অপসারণ কাজে যোগ দেন সিসিকের প্রায় দুই হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী। সাথে ছিলো অত্যাধুনিক বিভিন্ন যন্ত্রপাতিসহ শতাধিক গাড়ি। বর্জ্য পরিস্কারের জন্য সিসিকের ২৪ ঘন্টার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ১২ ঘন্টা অর্থাৎ বুধবার রাত ১০ টার মধ্যে সিলেট নগরীর শতভাগ বর্জ্য পরিস্কার করতে সক্ষম হয় সিসিক।

নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করল সিসিক

সিসিকের জন সংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলীম শাহ বাসস’কে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সর্ম্পকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান
জানান, নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত ছিলো প্রায় দুই হাজার কর্মী।

নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করল সিসিক

 

তারা বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নগরীতে ব্লিচিং পাউডার ও তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে বলে তিনি জানান।এবারে সিলেট নগরীতে ২৭ ওয়ার্ডে কোরবানির জন্য ৩০টি স্থান নির্ধারণ ছিলো। বরাবরের মতো এবারও কোরবানির পশু বিক্রি ও কোরবানির পশু জবাইয়ের পর বর্জ্য ২৪ ঘন্টার আগেই অপসারণ করতে সক্ষম হয় সিসিক। এর আগে এ বিষয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ জারি করে সিসিক। কোরবানির বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডকে ৩টি জোনে ভাগ করা হয়।

এসব জোনে বাস্তবায়নকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, সম্পত্তি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন নাহার রুমা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। এছাড়া ২৭ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম মনিটরিং করতে ৯ জন মনিটরিং অফিসার মাঠে কাজ করেন। পশু কোরবানির প্রত্যেকটি কেন্দ্রে কোরবানির সরঞ্জাম যেমন- চাটাই, টুকরি, সাবান, পানি, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি সংরক্ষিত ছিলো। কোরবানির কাজে সহায়তার জন্য প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ২ জন সহায়তাকারিও ছিলেন।

নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করল সিসিক

Comments are closed.