আজ থেকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে

জল্পনা কল্পনা এর সকল  অবসান ঘটিয়ে রোববার (২৯ আগষ্ট) উদ্বোধন হচ্ছে আজ থেকে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ শুরু হবে। ৯ হাজার ফুট থেকে ১০ হাজার ৭’শ ফুট পর্যন্ত রানওয়ে বর্ধিতকরণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
কক্সবাজার

এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানন্দরটি দেশের চতুর্থ আর এটি দেশের সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পার্কিং গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকাটি সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে। অনুষ্ঠানটি সর্বসাধারণের উপভোগের জন্য বিমান বন্দরের গেইটে একটি এবং সৈকতে দুইটি এলইডি প্যানেল আর ডিজিটাল ডিবাইস স্থাপন করা হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্র এর মতে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি কক্সবাজার থেকে যোগ দেবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন আর পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম, কক্সবাজার এর এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, এমপি জাফর আলম, এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, এমপি শাহীন আক্তার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাসহ প্রশাসনিক সকল রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ । কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনুষ্ঠানকে ঘিরে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর শুরুটা ছিলো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়। যুদ্ধ পরবর্তীর পর এটি দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সরকার এর নতুন ভাবে সংস্কার করে এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য পুণরায় চালু করে থাকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে বিমানবন্দরটি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৯৭২ সালে তা আবার সংস্কার করে ১৯৭৩ সালে পুণরায় এটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়।কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

সেই থেকে অনেক সরকারের পালাবদল হলো, মন্ত্রী, নেতা, আমলারা উড়ে এসে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামলেও বিমানবন্দরের ভাগ্য বিন্দুমাত্র উন্নয়ন হয়নি। ২০১৫ সালের ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটিকে  আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছেন এবং নাম দিয়েছেন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

২০১৫ সালের ২ জুলাই থেকে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক বন্দর নির্মানের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে ৪ হাজার ফুট রানওয়ে থেকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করন করা হয়েছে। পূর্বে রানওয়ের প্রস্থ ছিল ১০০ ফুট এখন তা করা হয়েছে ২০০ ফুট। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা নতুন অর্থায়নে দ্বিতীয় পর্যায়ে মহেশখালী চ্যানেলের উপর দিয়ে বিমান বন্দরটির রানওয়েটি এখন ১ হাজার ৭০০ ফুট বৃদ্ধি করা হবে। সব কিছু মিলিয়ে রানওয়ের দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট। যা শাহজালাল অন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের চেয়ে ২০০ ফুট বেশী। যেখানে এখন থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট। এছাড়াও সমুদ্র্রের বুকের প্রায় ৯’শ মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন এপ্রোচ লাইটিং এর ব্যবস্থা।

উদ্বোধনের প্রাক প্রস্তুতি থাকার কারনে গত বৃহস্পতিবার থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন এবং পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি কক্সবাজারেই অবস্থান করছে। অংশ হিসেবে তিনি গত শুক্রবার বিমানবন্দর উন্নয়ন এর সকল প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।