আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি : স্মৃতি চারণ সভায় বক্তারা

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানিয়ে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৭১তম জন্মদিন পালিত হয়েছে । আজ সকালে প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও গাজীপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের গ্রাম হায়দরাবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কবর জিয়ারত, পুষ্পমাল্য অর্পণ, পবিত্র কুরআন খানি, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি : স্মৃতি চারণ সভায় বক্তারা

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে হায়দরাবাদ গ্রামে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা, দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা ও স্মরণ সভায় শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, যেসব হত্যাকারী দেশের বাইরে পলাতক রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশবাসী অবিলম্বে হত্যা মামলার রায় কার্যকর দেখতে চায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও স্মরণ সভায় অংশ নেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের  সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আতাউল্লাহ মন্ডল, অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন মহি, আবদুল হাদি শামিম, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, স্বেছাসেবক লীগের নেতা রাকিবুল হাসান, আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই নূরুল ইসলাম পাঠান, সাংবাদিক মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি : স্মৃতি চারণ সভায় বক্তারা

জন্মদিন উপলক্ষে গাজীপুর মহনগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ, গাজীপুর প্রেসক্লাব, আইনজীবী, সাংবাদিক ইউনিয়নসহ  বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মসূচি পালন করে। জন্ম দিন পালন  উপলক্ষে আজ হায়দরাবাদে  কৃষক লীগের উদ্যোগে ৫০০ কৃষককে ১০ কেজি করে  উচ্চ ফলনশীল ধান বীজ প্রদান করা হয়। আহসান উল্লাহ মাস্টারের বৃদ্ধা মা বেগম  রোসমেতুন নেসা ধান বীজ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এসময় কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দসহ  মহানগর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর গাজীপুরের হায়দরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার ৩ দিন আগে নিজ গ্রামের বাড়িতে পাক হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পরে তিনি ভারতে মুক্তিদ্ধুদ্ধে প্রশিক্ষণে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি নোয়াগাঁও এম.এ মজিদ মিয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতার পাশাপাশি শ্রমজীবী মানুষের সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সঙ্গে যুক্ত  ছিলেন। তিনি দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, একবার উপজেলা চেয়ারম্যান এবং দুইবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি : স্মৃতি চারণ সভায় বক্তারা

 

জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী সভাপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) সহ শ্রম বিষয়ক  জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন।২০০৪ সালের ৭ মে টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি শহীদ  হন।