চুয়াডাঙ্গার ডিসির বেগমপুর ঝাঝরি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন

জেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝরি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২০টি নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

এ সময় যাদের জমি ও ঘর নেই এমন ২০টি উপকারভোগীদের এ ঘর নির্মাণ কাজের মান তদারকি ও পরিদর্শন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গার ডিসির বেগমপুর ঝাঝরি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন

 আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প যার মাধ্যমে গৃহহীন এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হয়।

বাংলাদেশের ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অন্যতম উদ্ভাবন হচ্ছে ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। একটি ঘর একটি ছিন্নমূল পরিবারের দারিদ্র্য হ্রাসসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

চুয়াডাঙ্গার ডিসির বেগমপুর ঝাঝরি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন

এটি এখন প্রমাণিত। প্রতিটি নিরাপদ গৃহ পরিবারের সকলকে করে তোলে আস্থাবান, প্রত্যয়ী এবং বর্তমান ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উদ্যোগী।

মুজিববর্ষে এসে দ্রুততম সময়ে গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে গৃহ প্রদানের মাধ্যমে জাতির পিতা সূচিত গৃহায়ন কর্মসূচিকে তিনি নতুনরূপে উপস্থাপন করেন। সরকারের উদ্যোগ অনুযায়ী দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।

যার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গায় পর্যায়ক্রমে প্রতিটি গৃহহীন মানুষের জন্য বাসস্থান তৈরি করা হবে। আর যারা উপকারভোগীরা আছেন আপনারা সহযোগিতা দিয়ে কাজ করবেন। ভালো কাজের মান নিশ্চিত করতে আপনারা দরদ দিয়ে কাজ বুঝে নেবেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন এ উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম তারিকুজ্জামান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন।

চুয়াডাঙ্গার ডিসির বেগমপুর ঝাঝরি আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন

আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাজহারুল ইসলাম, বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, ইউপি সচিব ফয়জুর রহমান, উপজেলা পরিষদের সিএ ইসমাইল হোসেন, পিআইও অফিসের ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবু বক্কর জোয়ার্দ্দার, জিল্লুর রহমানসহ প্রমুখ।