বেনজীরের পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা।অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে। গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের।পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে ওই পার্কে কর্মরত মৎস্য হ্যাচারী কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম (৫০) বিরুদ্ধে । মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
শনিবার বেলা ১০ টায় দুর্নীতি দমন কমিশন ( দুদক) গোপালগঞ্জের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল বাদি হয়ে সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। পার্কের মৎস্য হ্যাচারী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনকে আসামি করে এমামলা দায়ের করা হয়।
বেনজীরের পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
দুদকের ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞ মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ, ঢাকার পারমিশন পিটিশন নং ২৬৯/২০২৪ সংক্রান্তে গত ২৩ মে ১ নং আদেশ আনুযায়ী পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, বিধিমালা-২০০৭ এর বিধি ১৮ অনুযায়ী ক্রোক করা হয়।
ওই পার্কের তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে রিসোর্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ (গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়) চুরি করছেন বলে গোপন সূত্রে খবর পায় দুদক। বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেন।

পরে দুদক কর্মকর্তা সেখানে গিয়ে রিসোর্টের অভ্যন্তরে ২০ একরের একটি পুকুরে মাছ ধরতে দেখেন। দুদক টিমকে দেখে আসামি ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ওই রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম এর নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন।
পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া মাছ ও সাড়ে ৩৭ কেজি কাতল মাছ জব্দ করে এবং সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সামনে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় ওই মাছ নিলামে বিক্রয় করা হয়। ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, সাভানা ইকো রিসোর্টের পুকুর থেকে মাছ চুরির ঘটনায় রিসোর্টে কর্মরত এক মৎস্য কর্মকর্তাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করেছে দুদুক। আসামিদের ঠিকানা উল্লেখ করা হয়নি আমরা তাদের ঠিকানা জানার চেষ্টা করছি এবং আসামি শফিকুলকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
আরও দেখুনঃ