ইয়াহিয়া মাহমুদ এর দুর্নীতি চিত্র। ইয়াহিয়া মাহমুদ আট বছর বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ছিলেন। তার মধ্যে শ ম রেজাউল করিম তাকে দুই বছরের এক্সটেনশন দিয়েছিলেন। এক্সটেনশন পাওয়ার পর শ ম রেজা ও তৎকালীন সচিব রওনক মাহমুদ ( ইয়াহিয়া মাহমুদ এর বন্ধু) মিলে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কে একটি অকার্যকর ও অকর্মন্য প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর ও লুটপাটের রাজত্বে পরিনত করেছে।
নিয়োগ বানিজ্য আর লুটপাট নিয়ে মেতে ছিলেন ইয়াহিয়া, শ ম রেজা, রওনক মাহমুদ গ্রুপ। ইয়াহিয়া মাহমুদ এর রয়েছে নিজস্ব সন্ন্রাসী বাহিনী। কেউ উচ্চ বাচ্য এমনকি সমালোচনা করলেও তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। তার স্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমুর দুর সম্পর্কের ভাগনী। ইয়াহিয়া মাহমুদ এর ফুফাতো ভাই সাবেক আইজিপি মামুনের মাধ্যমে তার স্ত্রী কে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক হিসাবে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আবার একই স্টাইলে শুরু করেছে বিরোধী দমন। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কি কখনো ইয়াহিয়া মাহমুদ এর রাহুমুক্ত হবে না? কর্মরতরা কি পাবেনা মুক্তির স্বাদ। নারীলোলুপ অর্থলিপ্সু ইয়াহিয়ার হাত থেকে কি মুক্তি মিলবে না একটা জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের।
ইয়াহিয়া মাহমুদ এর দুর্নীতি চিত্র
ইয়াহিয়া মাহমুদ এর দুর্নীতির খতিয়ান
১) প্রায়োগীক গবেষণা ছাড়াই মিথ্যা গবেষণার তথ্য প্রচার করে জাতীর সাথে প্রতারনা।
২) শ ম রেজাউল করিমের দোসর হিসেবে ১০৬ জন আউট সোর্সিং নিয়োগে বিশাল অংকের নিয়োগ বানিজ্য।
৩) বিএফআরআই কর্মচারী নিয়োগে কোটি টাকার বানিজ্য। তার একান্ত জান্নাতুল ফেরদৌসের নতুন গাড়ী। শ ম রেজা কে কোটি টাকা।
৪) কোন টেন্ডার আহ্বান বা কাজ ছাড়াই ইলিশ গবেষণা প্রকল্পের চেক লিখে টাকা আত্মসাৎ।
৫) মেয়াদ এক্সটেনশন এর জন্য সামুদ্রিক মৎস্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হতে সচিব রওনক মাহমুদ কে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়া।
৬) কোন গবেষণা ছাড়াই মুক্তা প্রকল্পে লুটপাট। গবেষণার উৎপাদিত মুক্তা বা মুক্তা গবেষণার পুকুরে উৎপাদিত মাছ বিক্রির টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ। হুয়া ডানের রিপোর্ট কপি করে রিপোর্ট উপস্থাপন। মিথ্যা গবেষণার প্রপাকান্ডা ছড়ানো।
৭) কোর গবেষণার নামে রাজস্ব বাজেটের গবেষণার অর্থ লুটপাট।
৮) অবকাঠামো নির্মাণকাজের রাজস্ব বাজেটের অর্থ ফেক বিলের মাধ্যমে লুটপাট।
৯) গবেষণার মাছ ও লেকের মাছ বিক্রি করে আত্মসাৎ।
১০) নারী সহ কর্মীদের সম্ভ্রমহানী রাজী না হলে অত্যাচার।
১১) বিপুল অর্থের বিনিময়ে তার স্ত্রী কে আইজিপি মামুনের মাধ্যমে ডিজি পদে অধিষ্ঠিত ও তার মতবিরোধী কর্মকর্তাদের উপর অক্যথ্য নির্যাতন।
১২) হ্যাচারীতে উৎপাদিত রেনু পোনা বিক্রিত অর্থ নাম মাত্র জমা দিয়ে অবশিষ্টাংশ আত্মসাৎ।
১৩) এনএটিপি প্রকল্পের সমুদয় অর্থ কোন কাজ ছাড়া লুটপাট।
১৪) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নিয়োগে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের পদ সৃষ্টির সম্মতি না থাকা স্বত্বেও শ ম রেজাউল করিম এর মন রক্ষার্থে নিয়োগ বানিজ্য করে ৪৩ টি পদে নিয়োগ। নিয়োগ বানিজ্য নিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও বানিজ্যের কারনে দ্রুততর সময়ে নিয়োগ সম্পন্ন।
১৫) নিজ স্ত্রী কে জেষ্ঠ্য করতে এবং নিজের আজ্ঞাবহ প্রশাসন সাজাতে কনিষ্ঠ কে জেষ্ঠ্য ও জেষ্ঠ্য কে কনিষ্ঠ করা।
১৬) শ ম রেজাউল করিমের প্রশ্রয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তাকে পাত্তা না দেওয়া।
১৭) চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় কোটি কোটি টাকার অকেজো যন্ত্রপাতি কিনে প্রায় ১৫ বছর সদর দপ্তরের কয়েকটি কক্ষে ও ভান্ডারে ডাম্পিং করে রাখা। যা এক মিনিটের তরে চালু করা হয়নি।
১৮) নিজে ও পরিবারে সদস্যদের অনুকূলে ৪টি গাড়ি ব্যবহার।
ইয়াহিয়া মাহমুদ এর রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় প্রাসাদসম অট্টালিকা। মিরপুরে কয়েকটি ফ্ল্যাট, একমাত্র মেয়ে কানাডায় পড়াশোনা করছে এবং সেখানে রয়েছে বাড়ি ও টাকা পাচার করেছেন কানাডায়। বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠানে চলছে শুদ্ধি মহাপরিচালক পরিবর্তন। শুধু কি ব্যাতিক্রম থাকবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
আরও দেখুনঃ