গোপালগঞ্জের ১১টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন

গোপালগঞ্জের ১১টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গত বছর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করেছে।
নতুন প্রজন্ম ম্যুরালের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশপ্রেম জাগ্রত  করছে জাতির পিতার ম্যুরাল ।

গোপালগঞ্জের ১১টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন

সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সামাজিক মূল্যবোধ চর্চা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ  প্রজন্ম  গড়ে তুলতেই শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর গোপালগঞ্জের ১১টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন করেছে।

গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গর্বিত জন্মভমি গোপালগঞ্জ। এ জেলায় বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশরসহ সব বয়সের হাজার স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।

গোপালগঞ্জের ১১টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন

তাই আমার গোপালগঞ্জ থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের কাজ শুরু করেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে  গোপালগঞ্জের ৫ উপজেলার ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর ১১টি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা  জাগিয়ে তুলতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।

আমরা চাই আগামী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এছাড়া আমরা জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করব।
গোপালগঞ্জ শহরের সরকারি শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী  রুবাইয়া আফরিন বলে, আমাদের  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি সুদৃশ্য ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন, শাহাদত বার্ষিকী,স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ৬ দফা, গণঅভ্যুত্থান, বিজয়, স্বাধীনতা দিবসসহ বিভিন্ন দিবসে তাঁর ম্যুরালে আমরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই।

দিবসগুলোতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আলোচনা, কুইজ প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন আয়েজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর সাহসিকতা, আদর্শ, ত্যাগ, মানবতা ও দেশপ্রেম সম্পর্কে জানতে জানতে পারি। তিনি পরাধীনতার শৃংখল থেকে মুক্তি দিতে ধীরে ধীরে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বাঙ্গালী জাতিকে প্রস্তুত করেন।

গোপালগঞ্জের ১১টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেহেজাবিন রহমান বলে, স্কুলে এসে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দেখলে মন ভালো হয়ে যায়। কারণ তিনি ছিলেন আকাশের সমান হৃদয়ের অধিকারী। বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকালেই মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা মনে পড়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য সারা জীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। শেষ পর্যন্ত জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তার এ ত্যাগ আমাকে দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত করে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে সমৃদ্ধ দেশ ও শান্তিময় জীবন আমরা গড়ে তুলব।

গোপালগঞ্জ সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের অবিনাশী চেতনার প্রতীক। তিনিই বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। তিনি নিজে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। এ অনন্য সাধারণ কৃতিত্ব শুধু মাত্র আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরই রয়েছে।

বিশ্বের অন্য কোন নেতার এককভাবে এ কৃতিত্ব নেই। সুতরং এ মহান নেতা সম্পর্কে জানলেই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে জানাযায়। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল করে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধুকে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

গোপালগঞ্জের ১১টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন
গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গোপালগঞ্জ শহরের সরকারী শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারী মহিলা কলেজ, এস.এম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বীণাপাণি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কাশিয়ানী সরকারী এমএ খালেক কলেজ, রামদিয়া এস.কে সরকারী কলেজ, মুকসুদপুর সরকারী ডিগ্রি কলেজ, টুঙ্গিপাড়া সরকারী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারী কলেজ  ও সাতপাড় সরকারী নজরুল কলেজে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১১টি ম্যুরাল স্থাপনের কাজ গত বছর সমাপ্ত হয়েছে।

 

আরও দেখুনঃ

Comments are closed.